নাটোর অফিস॥
করোনা ভাইরাসের কারণে নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ জেলায় সকল এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিতের ঘোষণা দিলেও ওই নির্দেশনা মানছেননা অধিকাংশ এনজিও।
গত রোববার রাতে জেলা প্রশাসকের ফেসবুক আইডিতে দেয়া পোষ্ট সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিতের বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার পর দিনমজুর সহ সাধারন মানুষদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। জেলা প্রশাসকের ওই ঘোষনার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ আকারেও প্রকাশিত হয়। এজন্য কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানানো হয় জেলা প্রশাসককে। তবে সেই নির্দেশ মানছেনা অধিকাংশ এনজিও। তবে তাদের দাবী, সাময়িক কিস্তি আদায় বন্ধে এখনও কোন চিঠি পাননি তারা।
জানা যায়, বিভিন্ন সংস্থার মাঠকর্মীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ওই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সোমাবার সকাল থেকেই মাঠে নামে ঋণের কিস্তি আদায়ে। ঋণ গ্রহীতারা জেলা প্রশাসকের নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও তারা কিস্তি আদায় বন্ধ রাখেনি। উপরন্তু প্রায় জোর করেই কিস্তির টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। আজ মঙ্গলবারও থেমে নেই কিস্তি আদায় কার্যক্রম।
বেশ কয়েকজন ঋণগ্রহিতা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসার মন্দা যাচ্ছে। এরপরও এনজিও গুলোর মাঠকর্মীদের চাপ ও অত্যাচারে অতিষ্ট তারা।
তবে জোর করে বা চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করেছে (আরআরএফ নামে একটি সংস্থার মাঠ কর্মি মিজানুর রহমান মিজান।
শহরের তেবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রিক্সা চালক বৃদ্ধ মজিদ মিয়া জানান, তাঁর পরিবারে ৮ জন সদস্য। প্রতি সপ্তাহে এনজিওর কিস্তি দিতে হয় ১৪শ টাকা। করোনার কারনে শহরে মানুষ কমে গেছে। তাই এখন অঅগের মত তার আয় হচ্ছেনা। সংসার চালাতেই তার নাভিশ্বাস উঠেছে এর ওপর আবার ঋনের কিস্তি। কিভাবে শোধ হবে আয় না হলে। সরকার (জেলা প্রশাসক) ঋণের কিস্তি নিতে বারণ করার পরও তারা কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে।
রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ) শাখার ম্যানেজার মমিনুল হক বলেন, তারা কিস্তি আদায় বন্ধে কোন লিখিত নির্দেশনা পাননি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সকলকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া জেলার সকল এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে বসার কথা রয়েছে। আশা করি নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।