নাটোর অফিস॥
অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্য চাল মজুদ ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রোধে নাটোর সদরে চাল ক্রয়-বিক্রয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। নির্দেশনা মতে, একজন ভোক্তা খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২০ কেজি ও পাইকারী এক মণ চাল কিনতে পারবেন। অন্যদিকে, একজন ব্যবসায়ী প্রতিদিন বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০ মণ চাল কিনতে পারবেন। ব্যবসায়ীকে তার ট্রেড লাইসেন্স প্রদর্শন করে এই চাল কিনতে হবে। পুরো বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রতিটি বাজারে দুই জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। থাকলে সাদা পোষাকের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
আজ শুক্রবার(২০শে মার্চ) দুপুরে শহরের বিভিন্ন চালের মোকাম ও দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রশাসন গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনা আতঙ্কে ভোক্তারা অতিরিক্ত চাল ক্রয় করছিলেন। সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি শুরু করেছিলেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাজার মনিটরিং করে সত্যতা পাওয়া যায়। তাই চাল ক্রয়-বিক্রয়ে পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আশরাফুল ইসলাম বলেন, দেশে চালের সংকট নেই। উপরন্তু চালের মৌসুমও আসন্ন। তাই দাম বৃদ্ধির কোন কারণ থাকতে পারে না। বর্তমান সংকটকালীন সময়ে ক্রেতাদের দায়িত্বশীল ক্রয় আচরণ প্রত্যাশা করছি আমরা। বিক্রেতারা নির্ধারিত পরিমাণের বাইরে চাল বিক্রি করলে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।