নাটোর অফিস॥
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে তথ্য অফিসের শব্দ বিভ্রাটে নাটোর শহরে কানাইখালী স্টেডিয়াম মাঠের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আগতরা বিরক্ত হয়েছেন। কেউ কেউ পড়েছেন অসস্তিতে। তথ্য অফিসের সরবরাহকৃত মাইকের বিরক্তিকর শব্দ থেকে রেহায় পেতে অনেকেই দ্রুত শঞীদ মিনার চত্বর ত্যাগ করেন। ওই মাইকে উপস্থাপকের ঘোষনা বা একুশের গান কোনটায় বোঝা যাচ্ছিলনা। পুরো অনুষ্ঠান ছিল তথ্য অফিসের মাইক বিভ্রাট। একুশে ফেব্রুয়ারীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এমন নষ্ট শব্দযন্ত্র সরবরাহের জন্য জেলা তথ্য কর্মকর্তার উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন শহীদ মিনারে বাষা শহীদদের ¤্রদ্ধা জানাতে আসা হাজার হাজার মানুষ।
শুক্রবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রথম প্রহরে শহরের কানাইখালী মাঠের শহীদ বেদিতে ফুল দিতে আসা আগতরা তথ্য অফিসের সরবরাহ করা মাইক বিভ্রাটে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। শব্দ বিভ্রাট উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের বিরক্তির সৃষ্টি করে। এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে মাইকের শব্দে গোলযোগ দেখা দেয়। কিচিরমিচির, সো সো সো, পো পো পো নানা আওয়াজের কারণে উপস্থিত অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। ভালোভাবে না শোনা গেছে একুশের গান, না শোনা গেছে পু¯পস্তবক অর্পনকারী প্রতিষ্টান বা সং’স্থার নাম । মাইকের এমনদশার কারণে ঘোষক ভালোভাবে কার পরে কে ফুল দেবে তা বলতে না পারায় বিশ্ঙ্খৃল পরিবেশের সৃষ্টি হয় । কে কার আগে ফুল দেবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতার শুরু হয় । যদিও আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনী সদস্যদের তৎপরতার কারণে ভালোভাবেই পুস্পস্তবক অর্পন ,শপথ গ্রহণ এবং মোনাজাত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । পরে শহীদ মিনারের মঞ্চে গিয়ে দেখা যায় মাইক পরিচালনা করছেন জেলা তথ্য অফিসের অফিস সহকারী আব্দুস সাত্তার। যার শব্দ যন্ত্র সর্ম্পকে কোন ধারণায় নেই ।
মাইকের শব্দবিভ্রাট দেখে খোদ অনুষ্টানের উপস্থাপক নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন পর্যন্ত বিব্রত হয়েছেন। তিনি বলেন,এমন একটি জাতীয় দিবসে এ ধরণের মাইক কারণে কোন কোন ব্যক্তি , প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ফুল দিল তাদের নাম ঘোষণা সঠিক ভাবে করা যায়নি।
যুবলীগ নেতা মামুন হোসেন জানান ,নাটোর সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শফিকুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার থেকে জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু শহরের নানা পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কিভাবে তথ্য কর্মকর্তা এমন মাইক সরবরাহ করেন তা আমাদের বোধগম্য নয় ।
ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, ”কি এটা? মাইকের শব্দ হল? কেন এটা হবে? কি সমস্যা?এতো টাকা খরচ করে মহান একুশে পালন করা হচ্ছে। সেখানে তথ্য অফিসের লোকবল সংকট বা শব্দ যন্ত্রের সমস্যা থাকলে বাহির থেকে মাইকের ব্যবস্থা করা যেতোনা কি? এমন প্রশ্ন ছিল অধিকাংশ মানুষের। ”মাইক বিভ্রাটের বিষয়টি উপস্থিত সবার নজরেও পড়ে। অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে মাইক ঠিক করার জন্য একাধিকবার ইশারাও করেন। তারপরও ঠিক করা সম্ভব হয়নি শব্দযন্ত্রের বিভ্রাট । শব্দযন্ত্রের এ বিব্রাটের পিছনে জেলা তথ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের দায়িত্ব কর্তব্যে অবহেলা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন তারা।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নাটোর তথ্য অফিসের দুইজন মাইক অপারেটর এক সাথে অবসরে যাওয়ায় অফিস সহায়ক দিয়ে মাইক পরিচালনা করানোর কারনে শব্দবিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। লোকবল সংকট বা যান্ত্রিক সমস্যার বিষয়টি তিনি আয়োজকদের অবহিত করেননি বলে জানান।