নাটোর অফিস॥
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ অর্থায়নে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় আয়োজিত প্লাটফর্ম ফর ডায়লগের(পিফরডি) দুই দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা বর্জন করেছেন জেলার মূল ধারার গণমাধ্যমকর্মীরা। প্রশিক্ষণে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের বাদ রেখে ব্যক্তিপছন্দের সাংবাদিকদের নাম প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে প্রশিক্ষণ বর্জন করা হয়েছে।
আজ সোমবার(১৬ই ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বর্জন করেন সাংবাদিকরা। সংবাদ বর্জন করা গণমাধ্যমগুলো হলো- একুশে টেলিভিশন, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা, এনটিভি, বৈশাখী টিভি, সময় টিভি, একাত্তর টিভি, চ্যানেল ২৪, মাইটিভি, মাছরাঙ্গা টিভি, মোহনা টিভি, নিউজ টোয়েন্টিফোর, বাংলা টিভি, দৈনিক প্রথম আলো, সমকাল, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিন, জনকণ্ঠ, মানবজমিন, আমাদের সময় করতোয়া, দ্যা ডেইলি স্টার, দ্যা এশিয়ান এইজ, দ্যা ডেইলি সান, ভোরের ডাক, বণিক বার্তা, বাংলাদেশের খবর, দ্যা নিউ নেশন, মানবনণ্ঠ, বার্তা সংস্থা ইউএনবি, অনলাইন জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ অর্ধশতাধিক সংবাদমাধ্যমের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিবৃন্দ।
জানা যায়, দুই দিনব্যপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাংবাদিক নিবার্চনে মূল ধারার গণমাধ্যমের পরিচিতি ও পেশাগত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় না নিয়ে ব্যক্তিপছন্দের গণমাধ্যমকর্মীদের নির্বাচিত করা হয়। এতে পেশাদার ও মূল ধারার সাংবাদিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রশিক্ষণ বর্জণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। আজ সকাল থেকে এসব গণমাধ্যমের স্থানীয় কর্মীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্থানীয় প্রতিনিধি নাসিম উদ্দীন নাসিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের প্রচার সংখ্যার শীর্ষে অবস্থান করা সত্বেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আমন্ত্রণ পাননি।
বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিনিধি ইসাহাক আলী বলেন, একজন পেশাদার গণমাধ্যমকর্মী হয়েও ব্রিটিশ কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাইনি। অথচ এর আগেও ব্রিটিশ কাউন্সিলের নানা অনুষ্ঠান কাভারেজ করেছি।
দ্যা এশিয়ান এইজ ও বার্তা২৪ ডটকমের প্রতিনিধি নাইমুর রহমান বলেন, নামসর্বস্ব ও আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার প্রতিনিধিরা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অনুষ্ঠান কাভারেজের আমন্ত্রণ পাওয়ায় বিস্মিত হয়েছি।
মোহনা টিভির রাশেদুল ইসলাম রাসেদ বলেন, নামমাত্র এমন কিছু পত্রিকার সাংবাদিক রয়েছেন যাদের পত্রিকাও জেলায় আসে না। তারাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। অথচ পাঠক ও দর্শকপ্রিয় অনেক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রণ পাননি।
এ ব্যাপারে ব্রিটিশ কাউন্সিলের জেলা সমন্বয়কারী অমর ডি কস্তা বলেন, প্রশিক্ষণের সমস্ত কার্যক্রম ঢাকা অফিস থেকে নির্ধারিত। সাংবাদিক হিসেবে কারা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করছেন, তা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে জেলা তথ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কর্মশালার আয়োজক মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও ব্রিটিশ কাউন্সিল। সাংবাদিকদের তালিকা ঢাকা থেকে অনুমোদিত। যে তালিকা করা হয়েছে, সেখানে সকলেই মূল ধারা গণমাধ্যমকর্মী। আমাকে দেয়া দায়িত্ব আমি শুধু পালন করেছি।