নাটোর অফিস॥
এজলাসে জামিন শুনানি নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে আইনজীবী সাইদুর রহমান সৈকতের সাথে শোভন আচরণ ও তাকে বেয়াদব বলার অভিযোগে জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। এতে এজলাস কক্ষে হৈ-হট্টোগোল হলে পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে এজলাস ত্যাগ করেন জেলা ও দায়রা জজ। প্রতিবাদে মধ্যাহ্ন বিরতির পর আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা।
আজ সোমবার দুপুরে অর্ধশতাধিক আইনজীবীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রসাদ কুমার তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ঘটনার এমন বিবরণ জানিয়েছেন।
আইনজীবী সাইদুর রহমান সৈকত জানান, নাটোরের সিংড়া থানার একটি অস্ত্র মামলায় আটক তার মক্কেলের জামিন চান তিনি। প্রথমবার গত ৮ই জানুয়ারী জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদার জামিন নাকচ করেন। গতকাল ১২ই জানুয়ারী পুনরায় জামিন আবেদন করলে তিনি আজ শুনানীর কথা জানান। কিন্ত আজও শুনানির পর আদেশ না দিয়ে পরে জানানোর কথা বলেন বিচারক। তাই জামিন আবেদনটি পুনরায় বিবেচনার জন্য আবেদন করা হলে তিনি আমায় বেয়াদব বলে গালিগালাজ করেন এবং আজকের মতো আদালত মুলতবি করে এজলাস থেকে নেমে যান।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রসাদ কুমার তালুকদার বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিচারকাজ চলমান থাকলে তা বাধাগ্রস্থ বা প্রভাবিত হতে পারে। তাই আমরা এজলাস ত্যাগ করে আদালত বর্জন করেছি।
এ ঘটনায় আদালত প্রশাসনের আনুষ্টানিক বক্তব্য জানতে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজির সুনীল ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরে সোমবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরকার নিজ কক্ষে জাগোনাটোর২৪ডটকমকে বলেন, আমি ওই আইনজীবীকে শুনানির আদেশ পরে দেয়া হবে বলেছিলাম। এরপর আমি অন্য মামলার শুনানিতে মনযোগ দিই। এসময় ওই আইনজীবী ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বের একটি মাদক মামলার জামিনের উদাহরণ তুলে ধরেন এবং তার মক্কেলকে কেন জামিন দেয়া হলো না, তা জানতে চান। দুটি মামলার প্রেক্ষাপট এক না হওয়ায় জামিন না দেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরলেও ওই আইনজীবী এজলাসে হট্টোগোল করেন। পরে অসুস্থতা অনুভব করায় আমি আদালত মুলতবি ঘোষণা করি। মধ্যাহ্নবিরতির পর সুস্থ হলে এজলাসে ফিরে আসি। কিন্ত কোন আইনজীবী না থাকায় ফিরে আসি।