নাটোর অফিস॥
একাত্তরে গণহত্যার শিকার নাটোরের তিন শহীদ এস এম শামছুল হুদা হ্যাপী, আতাউর রহমান আতা ও অবিনাশ চন্দ্র ঘোষের গণকবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ। ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিন শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত ও প্রার্থনা করেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা।
আজ সোমবার(১৬ই ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের সকালে শহরের মীরপাড়া এলাকায় নারদ নদের লিয়াকত সেতুর পাশে গণকবরটিতে মানুষের ঢল নামে।
সেতু পারাপারকারী অনেকেই জানতেন না পাশের গাড়ী গ্যারেজটি এই গণকবরের উপর অবস্থিত। গ্যারেজের কারণে দেখা যেতাে না গণকবরটি। গতকাল রোববার (১৫ই ডিসেম্বর) জাগোনাটোর২৪ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর আজ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন এখানে।
গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ, নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্তোজা আলী বাবলু, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিউটি আহমেদ, পৌর কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
এদিকে, তিন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে গণকবরের বুকে গাড়ির গ্যারেজ নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। তারা অবিলম্বে গ্যারেজ ভেঙ্গে শহীদদের প্রতি যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালে পাকসেনারা রাজাকারদের সহায়তায় হ্যাপী, আতা ও অবিনাশকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর লিয়াকত সেতুর পাশে একত্রে মাটি চাপা দেয়। তিন শহীদের গণকবরের সেই স্থানটিতে ফজলুল হক নামের এক আইনজীবী নির্মাণ করেছেন গাড়ির গ্যারেজ।