জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম॥
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য সাড়ে ৬ শতাংশ জমি কিনে দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের পুত্র আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের রয়না মৌজায় মানিকপুর এলাকায় ওই জমিটি গত সোমবার রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জানান, নিজস্ব কার্যালয় করতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক মানিকপুর এলাকায় রয়না মৌজায় ১১৩৮ খতিয়ানের ১৫৩২ দাগের ১৪ শতাংশের কাত সাড়ে ছয় শতাংশ জমি দুই লাখ টাকা শতাংশ হিসাবে তের লাখ টাকায় ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এসময় স্থাণীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস-এর একমাত্র পুত্র আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন জমিটির দাম পরিশোধ করে দান করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই মোতাবেক গত সোমবার বড়াইগ্রাম সাব-রেজিষ্টার অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের নামে রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়। তবে প্রথমে জমিটি দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে রেজিষ্টি করার ইচ্ছা পোষণ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পূর্বানুমতি ছাড়া তাদের নামে জমি রেজিষ্ট্রির সুযোগ না থাকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের নামে ওই জমি রেজিষ্ট্রি করা হয়। গ্রহিতা হিসাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল প্রামাণিক স্বাক্ষর করেন। দাতা হিসাবে আব্দুর রহিম, রুবেল হোসেন ও রোজিনা বেগম স্বাক্ষর করেন। তারা উত্তরাধিকার সূত্রে ওই জরিম মালিক ছিলেন।
এ বিষয়ে আব্দুর রহিম ও রুবেল হোসেন বলেন, আমরা জমি বিক্রির ১৩ লাখ টাকা বুঝে পেয়ে সুস্থ্য-স্বজ্ঞানে বড়াইগ্রাম সাবরেজিষ্টার অফিসে গিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নামে জমি দলিল করে দিয়েছি। জমিটি সম্পূর্ণ নিষ্কন্টক, এ জমিটি কোন ব্যক্তি, ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ ছিলনা এখনও নাই।
এদিকে গতকাল রোববার ইফতার পূর্ব এ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে স্থায়ী অফিসের জন্য জমি কেনার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বড়াইগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী, আওয়ামীলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক জালাল উদ্দিন, মাসুদ রানা মান্নান, ইয়াছিন আলী, সাবান মাহমুদ, সাহাবুল আলম, পারভেজ, জমি বিক্রেতা আব্দুর রহিম, রুবেল হোসেন প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত নেতারা জানান, একটি চক্র জমি কেনার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যাচার করছে। ওইচক্র বিভিন্ন সংসাবদ মাধ্যমকে মিথ্যা তথ্যদিয়ে প্রভাবিত করে ভুল সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছেন। তারা সংশ্লিষ্টদের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান।