নাটোর
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেহেনা বেগম হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে নিহতের বড় ছেলে গোলাম কবির নান্নু বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি করেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তবে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকেই সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি আ. মতিন জানান, নিহত রেহেনা বেগমের বড় ছেলে গোলাম কবির নান্নুর বুধবার রাতে ৩০২ ধারায় দায়ের করা মামলাটি ওই রাতেই রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি মামলায় অজ্ঞাত এক বা একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ করেছেন। মামলাটি তদন্তে এসআই সাজ্জাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে থানায় এনেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু হাসনাত বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজের শয়ন ঘরে রেহেনা বেগম (৬০) খুন হন। বুধবার সকালে পুলিশ বিছানা থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে। তার মেজ ছেলে রানা শেখ সাংবাদিকদের জানিয়েছিল তার ছোট ভাই টনিকের নির্মানাধীন পাকা বাড়িতে তার মা রেহেনা বেগম একাই থাকতেন। নিহত রেহেনা বেগম উপজেলার জয়ন্তিপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মৃত ইউনুস আলীর মেয়ে এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার সাফাতুল্লাহর স্ত্রী। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রায় ২০-২৫ বছর পূর্বে রেহেনা বেগম সন্তানদের নিয়ে বাবার এলাকা জয়ন্তিপুরে চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি ওই এলাকায় থাকতেন।