বাগাতিপাড়া॥ নাটোরের বাগাতিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে মোয়াজ্জেম হোসেন কিশোর নামে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
আহত কিশোরকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষক ফেরদৌস রহমানকে আটক করেছে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশ।
আহত কিশোর বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ও একই গ্রামের উত্তরপাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে।
আহত কিশোরের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার ছেলে স্কুলে বন্ধুদের সাথে খেলার ছলে একটি রুমে আটকা পড়লে সে দরজা ধাক্কা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দরজার ধাক্কার শব্দে ফেরদৌস নামে একজন শিক্ষক এসে তার ছেলেকে কানের ওপর থাপ্পর মারে।
এতে কিশোর মাটিতে পড়ে গেলে তাকে অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে উপুর্যপরী বেত্রাঘাত করে। এ সময় অন্য শিক্ষকরা সেখানে বসা ছিলো। তবে একজন শিক্ষক এর কারণ জানতে চাইলে তাকে প্রহার করা বন্ধ করেন ওই শিক্ষক।
আহত ছাত্র কিশোরকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিশোরের মা এরজন্য প্রধাণমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবী করেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস রহমান জানান, কিশোর অনেকটা উচ্ছৃংখল ধরণের সে স্কুলে বিশৃংখলা ঘটানোর কারণে তাকে শাসন করা হয়েছে। তবে বেত্রাঘাত নিষেধ থাকায় সেটা করা তার মোটেও ঠিক হয়নি এজন্য তিনি কিশোরের পরিবারের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। এই কারণে তিনি নিজেও অনুতপ্ত।
এ ব্যাপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আ ন ম আফাজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ না মানলে তার আর কি করার আছে।
অপরদিকে, বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।