সিংড়াঃ নাটোরের সিংড়ায় কলেজ শিক্ষকের জায়গায় বেড়া দেয়ার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশীদের মারধর ও হুমকির শিকার হয়েছে এক কলেজ শিক্ষকসহ তিনজন।এ ঘটনায় গত রোববার নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনের নামসহ ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা ও গত বুধবার ৬জনের নাম উল্লেখ করে সিংড়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন আহত কলেজ শিক্ষক কায়সার হায়দার হেলাল।
সূত্রে জানা যায়, বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কায়সার হায়দার হেলাল এর বড়সাঁঐল গ্রামের বাড়ির গেটে জোর করে বেড়া দেওয়া শুরু করে প্রতিবেশী আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাসুদ রানা স্বপন ও কালা মিয়ার ছেলে টিপু। এ সময় বেড়া দিতে বাঁধা দেওয়ায় মামুন, স্বপন ও টিপুর লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় কায়সার হায়দার হেলাল, তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও ভাই মোস্তাক আহমেদকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। আহত হেলালকে প্রথমে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে। গতকাল ১২ই সেপ্টেম্বর সকালে আবার প্রতিপক্ষ মাসুদ রানা স্বপনের নেতৃত্বে কয়েকজন বাঁশ ও বাতা দিয়ে বেড়া দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। বাধা দিলে তাকে ও তার পরিবারের লোকদের হত্যার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা। পরে কলেজ শিক্ষক আবার সিংড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে সিংড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা স্বপন বলেন, ওটা আমার ক্রয়কৃত জায়গা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যেভাবে মেপে দিয়েছে সেভাবে বেড়া দিয়েছি। এ বিষয়ে থানায় আমার দেয়া অভিযোগও আছে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।