॥জাগো নাটোর রিপোর্ট॥
‘বড়ভাই শহীদ মমতাজ উদ্দীন হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিচার দাবীতে ১২ বছর আদালতের বারান্দায় ছিলাম। দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে হত্যামামলাটি স্থানান্তর ও চুড়ান্ত রায়ে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অবিচল থেকেছি। হাজারো প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে একবারের জন্যও ভাই হত্যার বিচার চাওয়া থেকে সরে আসিনি যার ফলশ্রুতিতে মামলার ১১আসামীর যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ হয়েছে। অথচ মামলার সাক্ষী হিসেবে আপন ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানদের একদিনের জন্যও আদালতে পাইনি।’
বুধবার দুপুরে নাটোরের লালপুরে সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মততাজ উদ্দীনের ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও মমতাজ উদ্দীন ফাউন্ডেশন আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণকালে এসব কথা বলেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও শহীদ মমতাজ উদ্দীনের ছোটভাই এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
সাংসদ বলেন, ‘শহীদ মমতাজ উদ্দীনের মৃত্যুর পর ১৫ বছর ধরে তিলে তিলে লালপুর-বাগাতিপাড়ায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছি, দলকে সুসংগঠিত করেছি। ফলস্বরুপ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে।’
যে কোন সময়ের তুলনায় নির্বাচনী এলাকায় দল বেশি সংগঠিত জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্মরণসভায় শহীদ মমতাজ উদ্দীনের স্মৃতিচারণ করে অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এমপি, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।