নাটোর: নাটোরে লাগামহীনভাবে অটোরিকশা বাড়ছে। এতে তীব্র যানজটের ফলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষসহ শহরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। এমনিতেই সংস্কারের নামে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে শহরে যানজট লেগেই থাকে। এর ওপর নতুন মাত্রা যোগ করছে অসংখ্য অটোরিকশা। খোঁড়া রাস্তার ধুলাবালি আর যানজটে নাকাল নগরবাসী। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছড়াচ্ছে নানা রোগ-ব্যাধি।
সরজমিনে দেখা যায়, নাটোর শহরের মূল সড়ক বাস টার্মিনাল থেকে বেলঘরিয়া বাইপাস হয়ে স্টেশন বাজার এলাকা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় বিশাল যানজট। অথচ সড়কের দুই পাশে রয়েছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিস, স্কুল-কলেজ, ক্লিনিক ও নানা ধরনের বিপণিবিতান। স্কুল ছুটির সময়ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে যানজট দেখা গেছে। এমনিতেই এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও অসংখ্য যানবাহনে চলাচল করে। এর ওপরে অটোরিকশা বৃদ্ধির কারণে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ঈদ উপলক্ষে কেনা-কাটা করতে আসা মানুষকে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এর ফলে ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। মূল সড়ক ছাড়াও শহরের নিচাবাজার, লালবাজার, পিলখানা মোড়সহ বিভিন্ন পাড়ার সরু গলিতেও অটোরিকশা অবাধে চলাচল করছে। এদিকে প্রধান সড়কে কোনো অটোস্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। আর সবচেয়ে বেশি যানজট লেগে থাকে ছায়াবাণী মোড়ে ও স্টেশন বাজার এলাকায়।
পৌর এলাকায় কতগুলো ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক ও অটোবাইক চলাচল করে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরেই। তবে শহরবাসীর ধারণা, চার থেকে পাঁচ হাজার অটোরিকশা নাটোর শহরে চলাচল করে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এইচ এম জাবেদ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘মহাসড়কের কাজটির মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে। কারণ ছায়াবাণী মোড় এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা না থাকায় তা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে বর্ধিত বরাদ্দ পাওয়া গেছে।’ নাটোরের ট্রাফিক পরিদর্শক বিকির্ণ কুমার বলেন, ‘শহরের রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ হলে যানজট থাকবে না।’
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এগিয়ে এলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যানজট নিরসন সম্ভব।’