নাটোর: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১১নং ছাতারদীঘি ইউনিয়নের নাগরনদে সুতি জাল দিয়ে পোনা ও মা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী শিকার করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। নাগরনদে নদ ছাড়াও এ সংলগ্ন বাশারনগর-লালপাড়া ও ধরমপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদজুড়ে বাঁশের বাঁধ ও সুতি দিয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী শিকারের ব্যবস্থা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে একদিকে যেমন মাছসহ চলনবিলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে আটকে পড়া পানির স্রোতে শত শত ঘর-বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
চলনবিলের জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা সংগঠকদের দাবী,প্রজনন মৌসুমে দখলদারদের বেপরোয়া দৌরাত্নে ব্যহত হচ্ছে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন।
সিংড়ার মৎস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত নাগরনদের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, বাশারনগর-লালপাড়া ও ধরমপুর এলাকায় নাগরনদীজুড়েবেশ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ও সুতিজাল দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ, কাঁকড়া, শামুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী নিধন করা হচ্ছে। জাল এতটাই নিশ্ছিদ্র যে জলজ কীটপতঙ্গ পর্যন্ত আটকা পড়ছে।
বাশারনগর গ্রামের সুমতী রানী, আব্দুল ওয়াহেদ, রুস্তম আলী জানান, সিংড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানকার কেউ খবর রাখে না। এই সুযোগে সুতির কারণে স্রোতে হুমকির মুখে এলাকার শতাধিক বাড়ি-ঘর।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তার এলাকায় নাগরনদের পানি আটকে সুতি বসানোর সত্যতা স্বীকার করেন।তিনি জানান, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নাগর নদে বাঁধ ও সুঁতি জাল দিয়ে এভাবে পানি আটকে মাছ ও জলজ প্রাণী শিকারে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য মারাত্নক হুমকির মুখে পড়েছে। তবে এর সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকায় এটা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার সুতি জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন।