নাটোর অফিসঃ নাটোরের শহরের পশ্চিম বড়গাছা জলারপার এলাকার জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে কেরোসিন স্টোভ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ সানজিদার পর আরেক অগ্নিদগ্ধ শামীমা খাতুন(১৮) পাড়ি দিল না ফেরার দেশে। শামীমার বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে। সে এন এস সরকারী কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাবার নাম সোহরাব মন্ডল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলেন। ঢাকা মেডিকেলে অবস্থানরত অগ্নিদগ্ধ ছাত্রী শামীমার ফুফাতো ভাই রাশিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বার্ণ ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমাকে মৃত ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন সকালে কেরোসিন স্টোভে রান্নার সময় নাটোর এন এস সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ৩ ছাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে শামীমা ও সানজিদাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে সানজিদার মৃত্যু হয়। একইদিন রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন শামীমাও। তাদের দুজনের শরীরই ৫০ থেকে ৬০ ভাগ পুড়ে যায়।