নাটোর অফিস॥ নাটোরে শহরের একটি ছাত্রী নিবাসে কেরোসিনের চুলা বিস্ফোরনে শামিমা খাতুন (১৭) , সানজিদা আক্তার (১৭) ও ফাতেমাতুজ্জোহা(১৮) নামে তিন কলেজ ছাত্রী দগ্ধ হয়েছে। আহতদের মধ্যে শামিমা খাতুনও সানজিদা আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে পাঠানো হচ্চে। অপর আহত ফাতেমাতুজ্জোহাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টপর পর শহরের বড়গাছা এলাকার জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা সকলেই নাটোরের নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকরী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। এদের মধ্যে সানজিদা ও ফাতেমাতুজ্জোহার বাড়ি লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর এলাকায় এবং শামীমা খাতুনের বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকায়। শামীমা খাতুন ও সানজিদা আক্তারের শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, শহরের বড়গাছা এলাকার আবুল কাশেমের মালিকানাধীন জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে অন্যদের সাথে বাস করতো নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজের ওই তিন ছাত্রী । বৃহস্পবিার সকালে সানজিদা,শামিমা ও ফাতেমাতুজ্জোহা একটি কেরোসিনের চুলায় রান্না করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে চুলাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই তিন ছাত্রী একই সাথে দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সানজিদা ও শামিমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দুই ছাত্রীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডাক্তার ওয়াসিম হোসেন জানান, তাদের দুজনের শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শহরের বড়গাছা এলাকার আবুল কাশেমের মালিকানাধীন জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে তিন ছাত্রী দগ্ধ হওয়ার ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কেরোসিনের চুলা রান্নার সময় বিস্ফোরিত হলে তারা দগ্ধ হয়।