নাটোর অফিস॥ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সোহেল রানা (২৮) হত্যার ১৭দিন পার হলেও হত্যা মামলার ৭ আসামীর কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, আসামীরা যেমন পলাতক রয়েছে, তেমনি তাদের আত্নীয়-স্বজনরাও গা-ঢাকা দিয়েছে।
গত ২ জুন উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা দক্ষিণপাড়া এলাকার ঈদগাহ মাঠ সাজানোর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে একই এলাকার কয়েক যুবক হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানাকে হত্যা করে। হত্যার পরদিন সোহেলের পিতা খলিল প্রামাণিক বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে রাজিব (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাগর (২৩), রফিক মৃধার ছেলে নয়ন (২৬), আব্দুস ছামাদ মোল্লার ছেলে সজীব (৩০), মৃত ফয়েজ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬০), মৃত ফকির মৃধার ছেলে রফিক মৃধা (৬০) ও মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
বুধবার (১৯শে জুন) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরগেটের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে, এম জাকির হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, বনপাড়া মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল-হেলাল কাফি, মৃত সোহেল রানার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে শুধু আসামীরা পলাতক ও তাদের পরিবারের সকলেই গা-ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাদের ধরতে পারেনি। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সোহেল হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ। বনপাড়া শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পিয়াস বলেন, মামলার আসামীদের কেন পুলিশ খুঁজে পায় না তা আমরা জানতে চাইনা। আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দেখতে চাই।
বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন তদন্ত সাপেক্ষে মূলদায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।