নাটোর অফিস॥ বিক্রেতাদের মর্জিমতো ঈদের একদিন আগে নাটোরের বাজারে বেড়েছে সব ধরণের মাংসের দাম। বিভিন্ন জাতের মুরগী, গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে পূর্বের চেয়ে বেশী দরে। জাতভেদে মুরগী প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা, গরুর মাংস ২০ থেকে ৩০ টাকা ও ইচ্ছেমত দরে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস। আর আকাশ ছুঁয়েছে দেশী মুরগীর দাম। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৭০ টাকা।
জেলা মার্কেটিং অফিস কর্তৃক গরু, খাসি ও মহিষের মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও কোন ব্যবসায়ী তা মানছেন না বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
মঙ্গলবার (৪ঠা জুন) শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে মাংসের দামে এমন উর্ধ্বগতি ও তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। এদিন ক্রেতাদের ভীড় সবচেয়ে বেশী দেখা গেছে মুরগী ও গরুর মাংসের দোকানে।
শহরের মাংসের বড় তিন বাজার যথাক্রমে স্টেশন বাজার, নীচাবাজার ও মাদ্রাসামোড় কাঁচাবাজার। এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা ও খাসি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগী কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগী ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও দেশী মুরগী ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, কোনরকম প্রশাসনিক মনিটরিং না থাকায় ঈদকে পুঁজি করে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নলডাঙ্গা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এম আরিফুল ইসলাম ভোক্তাদের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে বলেন, রমজান মাসজুড়ে কারসাজি করে নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা আর ঈদের আগে মাংস ব্যবসায়ীরা। উদাসীন কর্তৃপক্ষ সচেতন না হলে এ সমস্যা থেকে নিস্তার নেই কারণ ঈদ উৎসবে সকলেই অংশগ্রহণ করে।