নাটোর অফিসঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০ হাজার টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মোহাম্মদ আলী (৬০) নামে এক আদম ব্যাপারীকে মারধরের পর কান কেটে দিয়েছে পাওনাদার রান্টু ও তার সহযোগিরা। আহত মোহাম্মদ আলী উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের নূরাদহ গ্রামের মৃত হুমায়ন কবীরের ছেলে। শনিবার বিকালে মৌখাড়া হাটে যাওয়ার পথে গোয়ালিফা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় মোহাম্মদ আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় রান্টুকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত মোহাম্মদ আলীর ছেলে সান্টু আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সান্টু আলী জানান, কিছুদিন আগে মৌখাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রান্টুর দুজন আত্মীয়কে বিদেশ পাঠানো নিয়ে তার বাবা মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা হয়। সে অনুযায়ী তাদের পাসপোর্ট ও মেডিকেল রিপোর্ট করতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। সম্প্রতি তারা বিদেশ যাবে না জানিয়ে রান্টু টাকাগুলো ফেরৎ দিতে মোহাম্মদ আলীকে চাপ দেয়। শনিবার বিকালে মৌখাড়া হাটে যাওয়ার পথে গোয়ালিফা এলাকা থেকে রান্টু ও সহযাগীরা অস্ত্রের মুখে মোহাম্মদ আলীকে তুলে টিউবওয়েল মোড় এলাকায় রান্টুর চালকলে নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোহাম্মদ আলীর বাম কান কেটে দেয়াসহ বেদম মারপিট করে। এতে তার ডান হাত ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।