নাটোর অফিস॥ অপহরণ করার অভিযোগ ওঠা নাটোরের যুবলীগ নেতা জামিল হোসেন মিলন নিখোঁজের ৩ মাস ২৩দিন পর বাড়ি ফিরে এসেছেন। নিখোঁজ মিলনের ফিরে আসার খবরে তার এলাকায় আনন্দ বিরাজ করছে। এক নজর দেখতে আত্মীয় সজন, রাজনৈতিক সহকর্মী সহ শত শত উৎসুক জনতা তার বাড়িতে ভিড় করছেন। বৃহষ্পতিবার (২৩শে মে) ভোরে তিনি একাই বাড়ি ফেরেন। মিলন শহরতলীর তালতলা হাফরাস্তা (নান্নুর মোড়) এলাকার এমদাদুল হক মিয়াজির ছেলে। তিনি জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সদ্য অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।
মিলনকে সুস্থ অবস্থায় দেখে পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ অশ্রুর বন্যা বয়ে যায় । এতোদিন কোথায় এবং কিভাবে ছিল তা এখনো জানা যায়নি। তবে একটি সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে একটি হাইস গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয় ।
এদিকে জামিল হোসেন মিলন ফিরে আসার পর থেকে উৎসুক জনতার সাথে কুশল বিনিময় ও সাক্ষাত করলেও তাৎক্ষনিকভাবে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলেননি।
মিলনের বড় খালা লুৎফুননেছা ও মামি ফাতেমা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোরে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তার শরীর ভালো না। কারো সাথে কথা বলার অবস্থায় সে নেই। তবে মিলন এতদিন কোথায় ছিলেন, কে বা কারা তাকে নিয়ে গিয়েছিল-সে বিষয়ে তারা কিছু জানাতে পারেননি।
গত ৩১ জানুয়ারী র্যাব পরিচয়ে সাদা পোষাকে মিলনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়। মিলনকে অপহরণ করার অভিযোগ তুলে এবং তার সন্ধান দাবীতে সপ্তাহব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ ও হরতাল সহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করে তার সমর্থকরা। মিলন নিখোঁজের পর তার বাবা এমদাদুল হক মিয়াজি বলেন, ৩১ জানুয়ারী সাদা পোশাক কিছু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। বুধবার রাতে বাড়ির আশ-পাশে কে বা কাহারা তাকে রেখে যায়। পরে ভোরের দিকে মিলন নিজেই পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরে।
মিলনের বাবা এমদাদুল হক মিয়াজী তার ছেলে মিলনকে কারা এই তিন মাস ২৩দিন বন্দি করে রাখলো সে বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, মিলনের বাড়ি ফিরে আসার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা সহ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। যেহেতু এব্যাপারে একটি অভিযোগ মামলায় রুপান্তর হয়,তাই সুবিধাজনক সময় মিলনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।