নাটোর অফিস॥ দিনমজুর সোহাগ মিয়ার বয়স ৩৫ বছর। তিনি নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা মহল্লার হাবিবুর রহমানের ছেলে। অর্থের অভাবে জীবন প্রদীপ নিভতে বসেছে তার। দুটি কিডনী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গত তিনমাস ধরে হাসপাতালে আর বাসার বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন সোহাগ।
নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকার একটি বস্তার দোকানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে স্ত্রী এবং এক কন্যাকে নিয়ে অভাব অনটনে কোনমতো সংসার চালিয়ে আসছিল। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে সোহাগ। নাটোরের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পারমর্শ দেন। ঢাকার চিকিৎসকের পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর জানা যায় সোহাগের দুটিই কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। নিজ পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য ২০ থেকে ২৪ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সোহাগের কৃষক বাবার পক্ষে এই টাকার যোগান দেয়া কিছুতেই সম্ভব না। বর্তমানে টাকার অভাবে ভাড়া বাসার বিছানায় মৃত্যুর প্রহর গুণছে আসমা। তার চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
সোহাগের স্ত্রীর ভাই বাবলু শেখ জানান, সোহাগের পরিবারের সবাই দিনমজুর । তাঁর বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। তার বাবা সহ আমরা যতটুকু পেরেছি চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু বিশ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। অল্প বয়সেই যেন সোহাগের জীবন প্রদীপ নিভে না যায় সেজন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। সবাই মিলে পাশে দাঁড়ালে সোহাগ বেঁচে যাবে।
সাহায্যের জন্য সোহাগের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বর- ০১৭১১-৯৫৫৭৯২ অগ্রণী ব্যাংক, নাটোর শাখা । একাউন্ট নং-০২০০০০৯৫৫০১৩৪