নাটোর অফিস॥ নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন পৌরমেয়র উমা চৌধুরী। রোববার শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় একটি যাত্রিবাহি বাস মেয়রের গাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি প্রানে রক্ষা পান। এঘটনায় বিক্ষুব্ধ পৌর কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ বাসটি আটক করলে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানাযায়, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি তার গাড়িতে করে জেলা প্রশাসকের অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাদ্রাসা মোড় এলাকায় রাজশাহী থেকে বগুড়াগামী যাত্রিবাহি বাস বিসমিল্লাহ পরিবহন মেয়রের পিছন থেকে মেয়রকে বহনকারী পাজেরো গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মেয়রকে বহনকারী গাড়ির পিছন দিকে দুমড়ে যায়। তবে মেয়র উমা চৌধুরী জলি তার ব্যক্তিগত সহকারী মৌমিতা ভট্টাচার্য অক্ষত থাকেন। দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা মেয়র ও তার সহকারীকে উদ্ধার করে। এদিকে এই খবর পৌর কার্যালয়ে পৌঁছার পর পরই পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তারা বগুড়া সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় অন্তত ২০ মিনিট এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা পৌর কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দিতে তিনি নিজ কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে যাচ্ছিলেন। পথে তার জিপ গাড়ীটি মাদ্রাসা মোড় এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে বিসমিল্লাহ পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস জিপটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তাকে সহ তার ব্যক্তিগত কর্মচারীকে গাড়ি থেকে উদ্ধার করে। তবে তাদের কোন ক্ষতি হয়নি। এ খবর পৌরসভা কার্যালয়ে পৌঁছালে কর্মকর্তা-কর্মচারি, কাউন্সিলররা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বললে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়।