নাটোর অফিসঃ নাটোর সদরের হালসা ইউনিয়নের ধরাইল গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু(১২) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আড়াইমাস আগের এ ঘটনায় শাহজাহান আলী(৪০) নামে স্থানীয় এক ইজিবাইক চালকের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে নাটোর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা। মামলাটির তদন্ত করছেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক শাহ আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ শে ফেব্রুয়ারী শিশুকন্যাকে নানীর কাছে রেখে রাজশাহীর বাঘায় ওরশ শরীফে যান শিশুটির মা ও বাবা। ওই রাতে শোবার ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে নানীর পাশ থেকে শিশুটিকে পাশের ঘরে এনে ধর্ষণ করে আসামী শাহজাহান আলী। এ ঘটনা কাউকে জানালে শিশুটিকে হত্যারও হুমকি দেয় সে। গত ২৭শে এপ্রিল শিশুটির বাবা-মা সুপারি কুড়াতে বাড়ির বাইরে গেলে সেই সুযোগে আবারো বাড়িতে প্রবেশ করে শাহজাহান আলী। এসময় জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে গেলে শিশুটি চিৎকার করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলে চম্পট দেয় শাহজাহান। মামা-বাবা বাড়িতে এলে শিশুটি সেই রাতের ঘটনা খুলে বলে।
স্থানীয়রা জানান, আর্থিক রফার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার ও আসামী শাহজাহানকে নিয়ে একটি সালিশের আয়োজন করে। তবে শিশুটির পরিবার সেই আপোসে রাজী হয়নি। স্থানীয়দের মারফত পুরো বিষয়টি জেনে শিশুটির পরিবারকে আইনী সহায়তার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ পাঠান নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম জানান, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর বৃহষ্পতিবার প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষার করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি মিমাংসা না হওয়ায় সালিশের দিন থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শাহজাহান। মামলা দায়েরের পর আসামীকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।