নাটোর অফিস॥ নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নামে চাঁদা দাবী করায় নাটোরের নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র) কোম্পাণী লিমিটেডের লাইনম্যান, প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেসকোর নাটোর কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাস নাটোর সদর থানায় একটি লিখিত এফআইআর দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত এফআইআর সুত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল থেকে নাটোর নেসকোতে(বিদ্যুৎ বিভাগে) কর্মরত লাইনম্যান,প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোনে পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য পরিচয় দিয়ে ফোন করে হুমকি দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে একাধিক মোবাইল কোম্পাণীর নম্বর থেকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। প্রায় ৯টি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। যেসব ফোন নম্বর থেকে কল করে টাকা চাওয়া হয়েছে সেগুলো নম্বর হলো, ০১৯০৪-৪৬৯৩৭৭,০১৮৩৬-১৮৫৮৩৪,০১৮৬২-৮১৭৪৯৩,০১৬৩৬-৪১৬১৪০,০১৮২৫-৩৫১৪০০,০১৯০৯-০৮৮১১৭,০১৭৮১-৮৪৪০৭০,০১৯০৪৪৬৯৩৮৭এবং ০১৮৩৬-১৮৬১৬২।
প্রকৌশলী সুব্রত কুমার হোড় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফোনগুলো তাকেই করা হয়েছিল। পুর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে কলারকে ধমক দিয়ে লাইন কেটে দেন। অন্যদেরও একই পরিচয় দিয়ে ফোন করে টাকা দাবী করা হয়েছে। ফোনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা চাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে নাটোর নেসকোর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাস বলেন, ক’দিন ধরে বিভিন্ন মোবাইল থেকে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। এ কারনে এই দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সকলেই নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। বিদ্যুত একটি জনগুরুত্বপুর্ন দপ্তর। এই বিভাগ সরকারের আবশ্যকীয় সার্ভিস। বিদ্যুত কর্মীদের ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দিতে হয়। রাতে যাদের সার্ভিস দিতে হয়, তারা বেশী আতংক বোধ করছেন। এমতবস্থায় সকলের নিরাপত্তা বিধান ও দোষীদের সনাক্ত করা সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি মঙ্গলবার সদর থানায় লিখিত এফআইআর দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল নম্বরগুলোর সুত্র ধরে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। প্রতারণার উদ্দেশ্যে কেউ এমনটা করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।