নাটোর অফিস॥ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চড়া দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার তমালতলা বাজারের মাংসের দোকানগুলোতে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০টাকা, মহিষের মাংস প্রতি কেজি ৬০০টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মহিষের মাংস বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন প্রতি কেজি ৬০০টাকা চাওয়ায় মাইনুল ইসলাম ময়না নামে একজন ক্রেতা দাম বেশী নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি খবর নিয়েছেন, উপজেলার দয়ারামপুর বাজারে মহিষের মাংস প্রতি কেজি ৫০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা দাম কমাবেন না শুনে আজাহার আলী নামে একজন ক্রেতা মহিষের মাংস নিতে দয়ারামপুর বাজারে গেলেন। কিন্তু সবার পক্ষে দয়ারামপুর বাজারে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় চড়া দামেই মাংস নিতে বাধ্য হয়েছেন বেশী সংখ্যক ক্রেতা। শবেবরাত উপলক্ষে নির্ধারিত হাটের দিন ছাড়াও যেমন মাংস বিক্রি করা হচ্ছে, তেমনি দামও নিচ্ছেন ইচ্ছে মতো।
ক্রেতা আক্তার হোসেন জানান, মাংস বিক্রেতার কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। তারা ইচ্ছেমতো দাম হাকায়। প্রতি কেজি মাংসে ১০০টাকা বেশী নেয়াকে বাজার তদারকি না থাকাকে দায়ী করছেন ক্রেতা-ভোক্তারা।
নির্ধারিত দামের চেয়ে কেন চড়া দামে মাংস বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নে তমালতলা বাজারের বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন দাবি করেন, ‘বর্তমানে মহিষের দাম বেশী তাই কম নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর বাগাতিপাড়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে কোন পণ্য বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করা দন্ডনীয় অপরাধ। মাংস বিক্রেতা চড়া দামে মাংস বিক্রি করে অপরাধ করেছেন। ওই মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে ক্রেতাগণ অভিযোগ করায় তৎক্ষনাৎ ক্যাবের পক্ষ থেকে তাকে নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে বুঝানো হয়েছে, তারপরেও তিনি একই অপরাধ করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আশা উচিত।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে মাংস বিক্রির বিষয়টি শুনেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।