নাটোর অফিস॥ রাজধানীর বনভবনে কর্মরত উপ-বন সংরক্ষক ও নাটোরের সন্তান মাসুদ রানা (৪০) কে হত্যার অভিযোগ উঠলেও তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা করেছেন মাসুদ রানা। প্রতিবেদনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মাসুদ রানা নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কাকফো নতুনপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। রাজধানীর মিরপুরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন মাসুদ রানা। এই দ¤পতির দুটি কন্যা রয়েছে।গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে নিজ বাসার বেডরুমে মাসুদ রানাকে ঝুলস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরিবারের অভিযোগ ছিল, মাসুদকে তার স্ত্রী হত্যা করেছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাফরুল থানা পুলিশ মাসুদ রানার স্ত্রী, বাসার কাজের মেয়ে ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিলেও হত্যার প্রমাণ না পাওয়ায় পরে তাদের ছেড়ে দেয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই আল-আমিন মুঠোফোনে বলেন, মাসুদ রানার লাশ তার বেডরুম থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় মাসুদ রানার নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সুরুতহাল রিপোর্ট এবং সুইসাইড নোট অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় মাসুদ রানা আত্মহত্যা করেছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন দিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজধানীর সোরওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সার্জেন্ট মইন উদ্দীন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে আত্নহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে আÍহত্যার যে সন্দেহের কথা বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তেই আমরা সে রকম আলামত পেয়েছি। তার শরীরে কোনো দাগ নেই। মাসুদ রানা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে হাসপাতালের সংম্লিষ্টরা।