নাটোর অফিস॥ নাটোরে কলেজ শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুল জলিল। তিনি সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক। আর ভুক্তভোগী ছাত্রীর নাম দিয়া (ছদ্মনাম)।
এ ঘটনা তদন্তে ৭(সাত) সদস্যের একটি কমিটি করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তবে তদন্ত শেষ হলেও এখনও দেয়া হয়নি কমিটির রিপোর্ট।
এদিকে তদন্তের পরও রিপোর্ট জমা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে দাবী করছেন তারা। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবী, তদন্তের স্বার্থে তারা বিষয়টি নিয়ে এখনই কথা বলতে রাজী নন।
তবে অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির গঠন আহ্বান সংক্রান্ত চিঠিটি জাগোনাটোর২৪ ডটকমের হাতে এসেছে। চিঠিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রীর দায়ের করা লিখিত অভিযোগের তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন-কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষে বিদ্যোতসাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও দাতা সদস্য আহাদ আলী সেতু, কলেজের প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী অধ্যাপক সুজন ফৌজদার, আবদুল জলিল ভুইয়া, গোলাম মোস্তফা এবং শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে আব্দুস সালাম ও শর্মিলা ভট্টাচার্য।
এদিকে শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে চান না অধ্যক্ষ মৌসুমী পারভীন। আসলে কি ঘটেছে শিক্ষক ও ছাত্রীর মধ্যে, তাও এখনই প্রকাশ করতে চান না তিনি।
বৃহষ্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল জলিলের স্ত্রীর দায়েরকৃত অভিযোগের বরাত দিয়ে কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন আব্দুল জলিল। জলিল অবিবাহিত জেনে দিয়া সাড়া দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের শেষদিকে দিয়াকে নিয়ে শিক্ষক জলিল উত্তরা গণভবনে বেড়াতে এলে বিষয়টি জেনে যায় তার স্ত্রী। ঘটনাটি কলেজে জানাজানি হলে জলিলের স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যায়। পরে এমন সম্পর্কে আর না জড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলে সংসারে ফেরত আসে স্ত্রী। আর পূর্বে তোলা জলিলের সাথে বেশ কিছু ছবি ফেরত চায় দিয়া। গত মার্চে ছবিগুলো ফেরত চাইলে দিয়াকে শহরের উপশহরের নিজ বাড়িতে ডাকে শিক্ষক জলিল। স্ত্রী বাড়িতে আছে জেনে দিয়া তার বাড়িতে গেলে প্রথমে তাকে ঘুমের ঔষধ মেশানো ঠান্ডা পানীয় পান করতে দেয় জলিল। সরল মনে পান করে অচেতন হয়ে পড়লে দিয়াকে ধর্ষণ করে শিক্ষক জলিল। ফিরে বাড়িতে দিয়ার আসার ঘটনা বাড়িওয়ালা মারফত জানতে পেরে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় শিক্ষক জলিলের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মৌসুমী পারভীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ নিয়ে আপাতত সংবাদ প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।