নাটোর অফিস॥ নাটোরের সিংড়ায় তিন ফসলী জমিতে অবৈধ পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। এতে কমছে আবাদী জমির পরিমাণ। এসব পুকুরের মাটি ট্রাক্টর বা ট্রলিতে করে বেপরোয়াগতিতে ইটভাটায় নিয়ে যাওযার সময় সড়কের ওপর পড়ছে। এতে সড়কগুলোর অবস্থা বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে। পুরো উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর একই অবস্থা।
স্থানীয়দের অভিযোগ অবৈধ পুকুর খননের মাটি সড়কের ওপর পরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কগুলো পিচি্ছাল হয়ে পড়ছে। এসময় চলাচল করতে গিছে যানবাহনগুলোকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সিংড়া-বারুহাস সড়ক। এছাড়া শেরকোল-তেলিগ্রাম, সিংড়া-কলম, চৌগ্রাম-কালিগঞ্জ, বিলদহর-চামারী সড়কগুলোর একই হাল। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার কলম, চামারী, হাতিয়ান্দহ ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন সহ প্রায় গোটা উপজেলা জুড়ে চলছে পুকুর খনন। এসব মাটি বহন করা হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক দিয়ে। এসব সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য মটরসাইকেল, ভ্যান, রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহনে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়কগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, শুধু ২০১৮ সালেই উপজেলা ব্যাপী ৬৬ হেক্টর জমিতে ১৬৫টি পুকুর খনন করা হয়েছে।
আশরাফুল ইসলাম নামে এক ভূক্তভোগী বলেন, সড়কে মাটির সাথে প্রায় রুটোপুটি খেতে হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত দূর্ভোগের শিকার হচ্ছি , কিন্তু এটা দেখার মত কেউ নাই।
ইরফাদ আহমেদ নামের এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শেরকোলের রাস্তায় রোদে ধুলায় মাখামাখি হয় আর বৃষ্টিতে কাদায় লুটোপুটি খেতে হয়। দেখার বা বলার মত কেউ নাই। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমটা হলেও নজর নেই কারো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, প্রকৌশলীদের বলা হয়েছে সড়ক থেকে মাটিগুলো সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করার। তবে অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান চালানো হচ্ছে।