নাটোর অফিস: নাটোরে চাহিদামত চাঁদা না দেয়ায় ককটেল দিয়ে এক হোটেল কর্মচারীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছে এমরান শেখ(৩০)নামের একজন সাংবাদিক।
এমরান দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার নাটোর প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সে নাটোরের একডালা নারায়নপুর বাবুর পুকুরপাড় এলাকার আলাউদ্দীন শেখের ছেলে। একই সময় এমরানের সহযোগি আব্দুল্লাহ আল মবিন আকাশকেও আটক করা হয়। আকাশ পাশ্ববর্তী লোচনগড় এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে।
বুধবার রাতে তাদের একডালা থেকে আটক করা হয়।
জানা যায়, এমরান দীর্ঘদিন ধরে তার কয়েকজন সহযোগিসহ বনবেলঘড়িয়া, একডালা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি ও ফিটিং বাণিজ্য করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে একডালার স্থানীয় হোটেল কর্মচারী হাসান আলীর বাড়ির রান্নাঘরে ৩টি ককটেল রেখে নাটোর থানায় খবর দেয় সে। বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে গেলে হাসান আলী ও আশপাশের লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার বেশ কয়েকজনের নিকট থেকে চাঁদা চেয়ে আসছিল। না দিলে পুলিশী হয়রানীর হুমকি দিয়ে আসছিল সে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে হাসান আলীর বাড়িতে ককটেল রেখে তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। সকলের বক্তব্য শুনে পুলিশ সহযোগিসহ সাংবাদিক এমরানকে আটক করে। একজন নিরপরাধ মানুষকে শুধু সাংবাদিকের কথায় হয়রানী না করায় নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জকে কৃতজ্ঞতা জানান এলাকাবাসী।
নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী জালাল উদ্দীন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত সাংবাদিক তাকে ফোনে ককটেল উদ্ধারের বিষয়টি জানালে তার কথাবার্তায় সন্দেহ জাগে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঘরে ওই সাংবাদিকই ককটেল রেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকারও করেছে একথা। এখন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।