নাটোরঃ নাটোরের সিংড়ায় ছেলের হাতে মা জরিনা বেগম (৫৫) খুন হয়েছে। ঘাতক ছেলে জিয়াউল (৩৫) একজন মানসিক রোগী বলে জানায় নিহতের পরিবারের সদস্য ও জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয়রা।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা জরিনাকে মৃত অবস্থায় তার ঘরে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার সহ জিয়াউলকে াাটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পুন্ডরী গ্রামে মৃত মোম্মদের স্ত্রী জরিনা ও তার ছেলে জিয়াউল এক সাথে বসবাস করছিল। গত সাত বছর আগে জিয়াউর মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। এর পর থেকে জরিনাকে প্রায়ই তার ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। শুক্রবার সকালে জরিনাকে ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে এলাকাবাসী তার পাগল ছেলে সন্ধান করে এবং বাড়ির পাশে মাঠের মদ্যে বসে থাকতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দিলে সিংড়া থানার সহকারী পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম সহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
এসময় ঘাতক ছেলে জিয়াউলকে আটক সহ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনু জানান, জিয়াউল বেশ কয়েক বছর আগে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। সে প্রায়ই তার মা জরিনাকে াাঘাত করত। ধানা করা হচ্ছে জরিনার মাথায় লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে লাঠির আঘাতে জরিনার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারন সঠিকভাবে জানা যাবে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আটক জিয়াউল একজন মানসিক রোগী বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসী সকলেই জানিয়েছেন।