লালপুরঃ পদ্মানদীর পানি কমে যাওয়ার কারনে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার উৎসব। উৎসবমুখর পরিবেশে পদ্মানদীর লালপুর অংশের বিলমাড়ীয়া এলাকায় পানিতে নেমে ‘পলো’ (স্থানীয় ভাষায়) দিয়ে মাছ শিকারে মত্ত হয়ে উঠেছেন সৌখিন মাছ শিকারীরা ।
রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে পদ্মানদীর লালপুর অংশের বিলমাড়ীয় এলাকার নওসারা সুলতানপুরে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারীরা দলবেঁধে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন। কেউ মাছ পাচ্ছেন আবার কেউবা ফিরছেন খালি হাতে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মাছের আনাগোনা কম হওয়ায় বেশির ভাগ শিকারী দের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠছেন শিশু-কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা।
পলো, চাক পলো, নেট পলো, ঠেলা জাল, বাদাই জাল, খেয়াজাল, টানাজাল, ছেঁকাজাল, লাঠি জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকার করছেন তারা। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাদার মধ্যে মাছ খুঁজছে।
তবে মাছ পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, ব্যতিক্রমী এ উৎসবে যোগ দিয়ে আনন্দ উপভোগ করাটাই যেন তাদের কাছে মুখ্য বিষয়। জালে ধরা পড়ছে শোল, বোয়াল, গজার, দেশি মাগুর, রুই, কাতলাসহ হরেক রকমের মাছ।
তবে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা কারেন্ট জাল এবং কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার ফলে মাছের সংখ্যা কমে গেছে বলে অভিযোগ করেন তারা
দলবদ্ধ হয়ে মাছ ধরা এক ধরনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া মাছ শিকার উৎসব গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছরই এমন মাছ শিকার উৎসবে যোগ দেন বলে জানালেন তারা।