নাটোর অফিস।।
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের দায়ে মেহেদী হাসান (২৫) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা পাঠানপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বাড়ির বাইরে ডেকে নেয় মেহেদী। পরে বাঁশঝাড়ের ভেতরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যান। স্বজনেরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনই ভুক্তভোগীর বাবা মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে এবং মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
নাটোর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আইনজীবী রুহুল আমীন তালুকদার টগর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল সোমবার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে জামিনে থাকা আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ রায় ঘোষণা করে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। জরিমানার অর্থ পাবেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।