নাটোর অফিস।।
নাটোরের লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এঘটনায় লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে পাবনা জেলা থেকে রুবেল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামীরা হলেন- রুবেল উদ্দিনের দুই বোন রুপা খাতুন (২৫) ও ফারজানা ইয়াসমিন (২০) ও কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানাকে (৩১)।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০-১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাগাতিপাড়া থানার পুলিশ একটি মামলার আসামি রুবেল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বিকেলে লালপুর থানা ভবনে রাখে। খবর পেয়ে ওই নেতার পরিবারের লোকজনসহ লালপুরের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী থানা ভবনের ভেতরে ঢুকে স্লোগান দিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিএনপির প্রয়াত নেতা ফজলুর রহমান পটলের বড় ছেলে ইয়াসির আরশাদের (রাজন) সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রুবেলকে থানা হেফাজত থেকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। এসময় লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হকসহ অফিসাররা থানার ভিতরে ছিলেন। পরে রুবেলকে নিয়ে লালপুর-বাঘা সড়কে মিছিল করেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।রুবেল উদ্দিন নাটোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পরে খবর পেয়ে সেনা ও র্যাব সদস্যরা লালপুর থানায় গিয়ে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যার পর ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। আজ সকাল পর্যন্ত যৌথবাহিনী রুবেল উদ্দিনের চামটিয়ার বাড়ি থেকে তাঁর দুই বোন রুপা খাতুন (২৫) ও ফারজানা ইয়াসমিন (২০) ও কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানাকে (৩১) গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে দুুপুরে পুলিশ রুবেল উদ্দি কে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে লালপুর থানায় সংঘটিত ঘটনার জন্য লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ও দায়িত্বরত একজন উপপরিদর্শক এবং দুজন কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, যাঁরা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে আসামি ছিনতাই করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।