লালপুরে ইউনিয়ন বিএনপির অফিস ভাঙচুর আহত-১১

নাটোর অফিস।।
নাটোরের লালপুরে চংধুপইল ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। আহতরা লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সোয়া ১১ টার দিকে উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের আব্দুলপুর কদমতলা এলাকায় এঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের আহতরা হলেন, পুতুল পক্ষের সমর্থক আব্দুলপুর গ্রামের সেকেন্দার প্রামাণিকের ছেলে জুলহাস আলী (৪৭), রিপন আলী আলীর ছেলে রাফি (২২), করিম মন্ডলের ছেলে অন্তর (২১), জারেফ আলীর ছেলে শিশির (১৪), তুহিন আলী (৪০), শহিন আলী (৩১), সেন্টু আলী (৪৪), সাজেদুল, আওলিয়া, অন্তর। অপর টিপুর পক্ষের সমর্থক হাজজাজের ছেলে শুভ্র (৩০) ও আলমগীর (৪৫)।
স্থানীয় সূত্র বলছে, গতকাল ১১টার দিকে চংধুপইল ইউনিয়নের আব্দুলপুর কদমতলা এলাকায় নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য এ্যড. ফারজানা শারমিন পুতুলের সমর্থক চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলীর অফিসে বিএনপির কেন্দ্রী সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সমর্থক উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও আরিফুল ইসলাম আরিফের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এসময় চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলীর অফিস ভাংচুর করা হয়। এতে উভয় গ্রæপের অন্তত ১১ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ফাজানা শারমিন পুতুল এর সর্মথক ও চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলী বলেন, লালপুরে বিএনপির ওপর আওয়ামীলীগের হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় আসামী নান্নু ও ফিরোজ টিপু গ্রæপের উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও আরিফুল ইসলাম আরিফের আত্বীয় স্যালক ও সুমন্দি হয়। তারা এসে আরিফেফর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় স্থানীয় বিএনপির নেতারা বিষয়টি পপুলিশকে জানায়। পরে আরিফ ক্ষিপপ্ত হয়ে তার সমর্থক শুভ্র, কালাম সহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমার অফিসে হামলা চালিয়ে আমাকে সহ আরো ৮জনকে আহত করে এবং আমার অফিস ভাংচুর করে। তাইফুল ইসলাম টিপুর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচর করা হচ্ছে, গতকাল বিকালে বাওড়া রেল ব্রিজ এলাকায় ঘুরতে যায় কয়েকজন এসময় বাওড়া ও ইসলামপুরের ছেলেদের মধ্য মারামারি হয়। এঘটনায় চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জুলহাসের আত্মীয় রাফি, অন্তর ও শিশিরকে মারধর করে শিশিরকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে শিশিরকে উদ্ধার। এ বিষয়টি পুতুল গ্রæপের জুলহাস ও আমি বসে সমাধান ও করি। পরে রাতে তার (আরিফের) আত্মীয় ইসলামপুর গ্রামের নাহিদ বাড়ি যাচ্ছিলো এসময় ইমন ও নাহিদ লাটি শোটা নিয়ে হামলা করলে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংগর্ষ হয় এতে জুলহাস ও তার সমর্থকরা আহত হয় ও তার অফিস জনতা ভাংচুর করে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেণ, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করে নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *