নাটোর অফিস।।
নাটোরের সিংড়ায় চৌগ্রাম রাজবাড়ী বাঁকা দিঘীর পার্শ্বে থেকে ছোট চৌগ্রাম অভিমুখে চলমান খাল খননে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায় চৌগ্রাম-কালিগণ্জ রাস্তার ছোটচৌগ্রাম বাজার এলাকায় ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ছোট চৌগ্রাম গ্রামের সোহরাব হোসেন সাহিন এর সভাপতিত্বে অংশগ্রহন করেন আশে পাশের কয়েক গ্রামের ৫ শতাধিক মানুষ। বক্তারা খাল দখল করে খনন করা কয়েকটি পুকুর দখলমুক্ত করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তারা বৃটিশ আমলের খালটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
মানববন্ধনে ছোট চৌগ্রামের খালেকুজ্জামান রনজু বলেন, তিনটি মাঠের পানি প্রবাহের জনগুরুত্বপুর্ন খালটি চৌগ্রাম -কালিগনজ ভায়া থাওইল বাদোপাড়া হয়ে চলমান ছিল। গত ৪-৫ বছর পূর্বে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ক্ষমতার প্রভাবে খাল বন্ধ করে পুকুর খনন করলে খালটি বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে প্রতি বছর এলাকার কয়েকশত কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ছোট চৌগ্রামের আলহাজ আমজাদ হোসেন বলেন, খালটি বৃটিশ আমলেও ছিল আশেপাশের ১০-২০ গ্রামের মানুষের এখমাত্র নৌকা চলা চলের রাস্তা ছিল এই খালটি। চৌগ্রাম-কালিগনজ প্রায় ১৫ কিলোমিটার খাল দিয়ে মানুষ কৃষিপন্য বহন করত সহজেই। বর্তমানে খাল দখল করে পাশাপাশি কয়েকটি পুকুর খননের কারনে মাঠের ধান সহ গুরুত্বপুর্ন মালামাল বহন বর্তমানে বন্ধ। বিগত কয়েক বছর যাবত শত শত কৃষক রোপা আমন ধান রোপন করতে পারছেন না।
কাদিরুল আনাম লেমন বলেন, চলমান খাল বন্ধ করে পর পর কয়েকটি পুকুর খননের কারনে খালটি বন্ধ হওয়ায় এলাকার শত শত কৃষক, শত শত মৎস্যজীবি সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ। দখলবাজ প্রভাবশালীদের অবৈধ পুকুর উচ্ছেদ করে খাল খননের দাবি করেন।
পুকুর খনন কারী ছোট চৌগ্রাম গ্রামের গোলাম মোস্থফা বাবু বলেন, খননকৃত পুকুরের জায়গাটি আমাদের দলিলি সম্পত্তি। যাহা খাজনা খারিজ করে ভোগ দখল করে আসতেছি। আমার ব্যক্তিগত জায়গায় খাল খনন বন্ধ রাখতে আদালতে মামলা করা আছে।
বিএডিসি সিংড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী মানিক রতন বলেন, খাল খনন বন্ধ রাখতে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। চৌগ্রাম রাজবাড়ী থেকে ছোটচৌগ্রাম অভিমুখে ৩ কিলোমিটার খাল খনণের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসন করার জন্য বিএডিসির খালটি খনণ করা হলে ছোট চৌগ্রাম, নিমাকদমা, চৌগাম সহ আশে পাশের ১০-১২ গ্রামের কয়েকশত কৃষক ভুগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে উপকৃত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, খাল খনন হচ্ছে শুনেছি। খালের মুখে ব্যক্তিগত জায়গা দাবি করে পুকুর খনন করা হয়েছে। জায়গাটির প্রকৃত কাগজপত্র দেখে সত্যতা নিশ্চিত কররা জন্য সহকারী কমিশনার ভুমি এবং ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। আর মানববন্ধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। শুনেছিন জায়গাটি নিয়ে একটা মামলা করেছে ব্যক্তিগত জায়গা দাবি করা ব্যক্তি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।