নাটোর অফিস।।
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোঁসাইজির আশ্রমের কমিটি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কর্মকার ও তাঁর এক সহযোগী উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (১৯মার্চ) রাত ১০টার দিকে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সরকারি গ্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আহত আরেকজন হলেন খোকন কর্মকার (৪৫)। তাঁরা দুজনই উপজেলার বিলমাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে সঞ্জয় ও খোকন এক মৃত স্বজনকে দেখে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে তাঁরা রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে তাঁদের ওপর রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা সঞ্জয়ের বাঁ হাত ভেঙে দেয় এবং বুক ও পায়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। খোকনের ডান পা, বুক ও পেটে আঘাত করা হয়েছে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লালপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দিপেন্দ্রনাথ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় শ্রী শ্রী ফকির চাঁদ গোঁসাইয়ের আশ্রমের কমিটি গঠনের জের ধরে এই হামলা চালানো হতে পারে।
আহত সঞ্জয় কর্মকার বলেন, তিনি আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ উত্তম মণ্ডল, নিরমল লাবু মাষ্টার ,সুদিব ঘোষ, লাবু মাষ্টার দীর্ঘদিন যাবত তার বিরোধীতা করে আসছে। তাদের ইন্ধনে প্রশাসন নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এ ব্যাপারে তিনি নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেন। গতকাল তাঁর পক্ষে রায় হয়। এর জেরে তাঁর লোক কন্টাক করে ওপর হামলা চালিয়েছে।
তবে অভিযুক্ত উত্তম মণ্ডল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
লালপুর থানার (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আআনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।