নাটোরঃ নাটোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোস্তারুল ইসলাম আলম পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার নাটোর সদর উপজেলাবাসীর সেবা করতে চান। এ লক্ষ্যে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ শুরু করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি
মোস্তারুল ইসলাম আলম নাটোর পৌরসভার ২ বার নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর। জেলার রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজের মোস্তারুল ইসলাম আলম একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি নাটোর জেলা ট্রাক,ট্যাংকলরী ও কাবার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তবে মোস্তারুল ইসলাম আলমের সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি নাটোর পৌরসভার দুই মেয়াদের সফল কাউন্সিলর। তাকে নাটোরের মানুষ একনামে ‘আলম কমিশনার’ নামে চেনে।
দুই বার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে আলাদা ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে মোস্তারুল ইসলাম আলমের। ছাত্র রাজনীতির আঁতুরঘর থেকে উঠে আসা আলম একজন শ্রমিক নেতা হিসেবেও অত্যন্ত সুপরিচিত। জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠনের নেতৃত্বে থাকায় বিরাট এ জনগোষ্ঠীর একক সমর্থন রয়েছে মোস্তারুল ইসলাম আলমের। এছাড়া নাটোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হিসেবেও আলাদা পরিচিতি তার। নাটোর পৌরসভায় বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলরদের দাপটের সময়ও তিনি নিজ দল আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে অংশ নিলে অনান্য প্রার্থীদের তুলনায় আলমের জয় অনেকটাই সুনিশ্চিত।
মোস্তারুল ইসলাম আলমের জানান, তিনি দলকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য দুই যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে হামলা-মামলা-কারাবরণের শিকার হয়েছেন। কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই তিনি সাধারণ জনগণের নিকট থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তাই এবার তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমি পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সদর উপজেলাবাসীর সেবা করতে চাই। জনপ্রতিনিধি নয়, সেবকই হবে আমার বড় পরিচয়। আমার বিশ্বাস, বিগত দিনে দলের প্রতি আমার আনুগত্য ও অবদান বিবেচনায় দল আমাকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেবে। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কখনও নির্বাচন করবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবে, তার জন্যই কাজ করব।’