নাটোর অফিস॥
নবগঠিত নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য হামজা গ্রুপের মালিক শিল্পপতি আবুল কাশেমকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তার পদ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপির একাংশের নেতা কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নাটোরে তার বাড়ির পাশে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের দত্তপাড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা নবগঠিত কমিটির নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কাশেমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রচার সম্পাদক বলেন জুয়েল রানা বলেন, নতুন জেলা বিএনপির যে কমিটি হয়েছে সেখানে আবুল কশেম নামে একজনকে সদস্য করা হয়েছে। সে যে বিএনপি করে এটাই আমরা জানিনা। তাকে গত ১৭ বছরে দলীয় কোন আন্দোলন-সংগ্রামে দেখা যায়নি। এক সেকেন্ডের জন্যও কাসেমকে দত্তপাড়ার মাটিতে দাঁড়াতে দিবো না বলেও তিনি হুঁশিয়ারী করেছেন।
সদর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোন্তাজ আলী প্রামাণিক বলেন, আওয়ামী লীগের সর্বশেষ নির্বাচনে সদরের সাবেক এমপি শিমুলের নির্বাচন করেছে এই শিল্পপতি কাশেম। আওয়ামী লীগকে অর্থ যোগানদাতা এই কাশেম। অথচ তাকে করা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য। ১৭ বছর কোথাও দেখিনি কিন্তু সে কিভাবে পদ পেলো। আমরা তাকে নাটোরের মাটিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। এই বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যানের মধ্যে আরো নেতৃত্বদেন জেলা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি হানিফ মোল্লা, বড় হরিশপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদের সভাপতি গোলাপ মোল্লা, দত্তপাড়া শাখা অফিসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রমুখ। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের কাছে আবেদন জানাই দ্রুত নাটোর জেলা কমিটি সংশোধন করে কমিটিতে ত্যাগীদের স্থান দেয়া হোক। ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৩ সালে দিনাজপুরে নাটোরের এক নেতার নির্দেশে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সে আমাকে সিঙ্গাপুর যেতে হয়েছিল। বিষয়টি তারেক রহমানসহ সবাই জানতেন। পরে ম্যাডাম খালেদা জিয়া আমাকে ঢাকায় রাজনীতি করতে বলেন। সেইসাথে ২০১৩ সাল থেকেই পুরো গাজীপুরের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান সাহেবকে বললেই জানা যাবে কাশেম কে? তাকে কেন নাটোরের কমিটিতে রাখা হলো।