হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মাসুমের দুই দিনের রিমান্ড

নাটোর অফিস ॥
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২৪ এর ৫ আগস্ট নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসভবনে আটকে রেখে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রবিনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নাটোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল আমিন এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী (এপিপি) গোলাম রাব্বানী। সোমবার দুপুরে কঠোর নিরাপত্তায় মাসুমকে নাটোরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিনের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোতালেব হোসেন। এসময় শুনানী শেষে বিচারক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নাটোর জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রাব্বানী জানান, মাসুমকে গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারী) অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজির করলে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। আদালত আজকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে।
নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারনায় কারণে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রবিনকে অপহরণ করে সাবেক এমপি শিমুলের থানাপাড়ার বাসায় আটকে রাখে। পরে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা সোহেল রানা বাদি হয়ে গত বছরের ২৬ আগস্ট সাবেক এমপি শিমুল ও তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা মাসুম সহ ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের গত ১৬ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর থেকে রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে আটক করা হয়। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রবিন হত্যা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আজ দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এসময় বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি বলেন, রিয়াজুল ইসলাম মাসুম নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুর এলাকার বাসিন্দা এবং নাটোর-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের (শিমুল) ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদরের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, নির্যাতন, হত্যাসহ সাতটি মামলা আছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *