নাটোর অফিস॥
নাটোরের নলডাঙ্গায় ১৮ বাড়িতে গান পাউডার দিয়ে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট মামলায় বিভিন্ন ধারায় সাত বছর করে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ৯৪জনকে আপীলের রায়ে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার বেলা ১২টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এ এফ এম মারুফ চৌধুরী এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজীপুরে ১৮টি বাড়িতে গান পাউডার ছিটিয়ে ও পেট্রল দিয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে একই এলাকার আনিছুর শাহের ছেলে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ঘটনার তিন বছর পর ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের শাসনামলে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী নলডাঙ্গা থানায় বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করেন। দায়েরকৃত মামলায় ৪৩৬ ধারাসহ বিভিন্ন ধারায় অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ৯৪ জনকে ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রওনক মাহমুদ ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রায়ের পর মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু তিনিসহ ৩০জনের পক্ষে এবং তার ভাই রফিকুল ইসলাম তালুকদার ২০০৯ সালের ৬ আগস্ট তিনিসহ ৩৮জনের পক্ষে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপীল করেন। দীর্ঘ আপিল শুনানী শেষে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এ এফ এম মারুফ চৌধুরী বুধবার মামলার সকল আসামীকে খালাস প্রদান করেন। নাটোর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর বলেছেন, বিচারক মামলার পর্যবেক্ষনে বলেছেন, দুলুর ভাতিজা যুবদল নেতা সাব্বির আহম্মেদ গামা হত্যাকান্ডের পর বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে সেই হত্যা মামলার আসামী ও তাদের স্বজনরা পরিকল্পিত ভাবে দুলু ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে ঘটনার তিন বছর পর কাউন্টার মামলা হিসেবে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবি ও নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: শরিফুল ইসলাম মুক্তা জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নিস্পত্তি কৃত মামলার আপীল শুনানী শেষে বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক দন্ডপ্রাপ্ত সকল আসামীদের খালাস প্রদান করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এই মামলায় খালাস পাওয়ায় জাতীয় সংসদ সহ যেকোন নির্বাচনে প্রার্থী হতে আর কোন বাঁধা নেই। এমন রায়ে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করেন এই আইনজীবি।