নাটোর অফিস ॥
নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামের একটি চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক কোটি ৫২লাখ ৫১হাজার ৩১১ টাকা। ওই বিল নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর কর্তৃপক্ষ বিলটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে ১৬ হাজার ৬২০ টাকার একটি পুননির্ধারিত বিল গ্রাহক ভেষজ চাষী সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. জালাল উদ্দিনের বাড়ি গিয়ে তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আসেন। আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর জেনারেল ম্যানেজারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন জালালের বাড়ি গিয়ে ১৬ হাজার ৬২০ টাকার পুননির্ধরিত বিলটি হাতে দিয়ে আসেন। এসময় জালালের কাছে ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
জালাল উদ্দিন জানান, চালকল হিসেবে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করলেও বর্তমানে সেখানে তিনি ধান- চাল মাড়াই করেন না । দেশের ওষুধি গ্রামখ্যাত লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়ার ভেষজ চাষীদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (গুড়া) করার কাজে এই চালকলটি ব্যবহার করা হয়। তিনি আর বলেন,গত এক বছরের হিসাব মতে গড়ে প্রতিমাসে এই মিলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যস্ততায় আমি বেশ কিছু দিন প্রতিষ্ঠানে আসতে পারেননি। সোমবার মিলে এসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখে তার মাথা খারাপ উপক্রম হয়। বিলে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ কোটি ৫২লাখ ৫১হাজার ৩১১ টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে বিল হাতে নাটোর শহরের ফুলবাগানে অবস্থিত নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তরে যাই। এসময় বিলিং সহকারীদের কাছে অভিযোগ জানালে তারা সমস্যার কোন সমাধান না করে উলটো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুতের একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই এমন ভুতুড়ে বিলের কারণে তাদের বিপদে পরতে হয়। এসব বিষয় সমাধান করতে হলে অনেক দৌড়-ঝাপ করতে হয়। এজন্য তাদের ভোগান্তি সহ হয়রানির শিকার হতে হয়।
জালালউদ্দিন বলেন,অফিস থেকে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটা থকে ৪ টার মধ্যে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে সংশোধিত বিল তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে এসেছেন । এসময় তারা ভুল বিলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি সংশোধিত বিল পাওয়ার পর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে তার আর কোন অভিযোগ নেই।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) মোহাম্মাদ আবু নাসের বলেন, এটা বড় ধরনের একটি ভুল। বিলটি সংশোধন করে¡র গ্রাহকের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে। এই ভুলের জন্য গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। এমন ভুল যাতে আর না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। যারা এমন ভুল কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।