সাবেক সংসদ সদস্য কোহেলী কুদ্দুস সহ আ’লীগের ৩২ নেতাকর্মীর নামে মামলা

 

নাটোর অফিস॥
নাটোর-নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩২ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। বিএনপি কর্মী সালাহ উদ্দিন কাফি বাদি হয়ে বুধবার (২ অক্টোবর) গুরুদাসপুর থানায় মামলাটি করেন। গুরুদাসপুরে যুবদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বিয়াঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন রান্টুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এমপি আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আসিফ আব্দুল্লাহ বীন কুদ্দুস শোভন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ, কল্লোল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাসিশ কবির, যুবলীগ নেতা জামান সরকার প্রমুখ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর গুরুদাসপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম বিপ্লব ও বিএনপি কর্মী সালাহ উদ্দিন কাফির কাছ থেকে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় শিক্ষা সংঘ এলাকায় সাবেক এমপি অ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ও আসিফ আব্দুল্লাহ বীন কুদ্দুস শোভনের হুকুমে আসামিরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে মিল্টন, রেজাউল করিম সবুজ ফকির, সুজন আহম্দে ও মবিদুল ইসলামের কাছে অভিযুক্ত সকল আসামির উপস্থিতিতে ৫ লাক টাকা প্রদান করেন সালাহ উদ্দিন কাফি। বাকি ৫ লাখ টাকা না দিতে পারায় ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর সন্ধায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম বিপ্লব, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজের ছেলে নুরুজ্জামান মিন্টু, বিএনপি কর্মী আরিফুল ইসলাম ও সালাহ উদ্দিন কাফি চাঁচকৈড় বাজারের ক্যাফে রোজ রেস্ট্রুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। মাথায় হাসুয়ার কোপ লাগার কারনে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলাম বিপ্লব মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে যায়। সাথে থাকা ৩ জনও গুরুতর আহত অবস্থায় রা¯স্তয় পরে থাকে। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতা শাহাদৎ হোসেন রান্টু দাবি করেন, তিনি এ সকল ঘটনার সাথে জড়িত না। রাজনৈতিক ভাবে তাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, রাতেই বিয়াঘাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন রান্টুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *