নাটোর অফিস॥
পরাজিত শক্তি সাবেক আওয়ামী ফেসিস্ট সরকারের দোষররা যেন পরিকল্পিত ভাবে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মী উৎসব দূর্গা পূঁজাকে কোন নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। তাই প্রতিটি মন্ডপের জন্য কমিটি করে নিজস্ব উদ্যোগে পূঁজা মন্ডপের কমিটির সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজন মাফিক পাহাড়া দেবে জামায়াতের কর্মীরা। শনিবার বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসুল (সা.) এর আদর্শ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর ড. মীর নূরুল ইসলাম এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের স্বীকার এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জামায়াত। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনাতর বিপ্লবের পর চাইলে অনেক কিছুই করা সম্ভব ছিল। কিন্তু জামায়াত সেটা না করে উল্টো মানুষের বাড়ী-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির-গীর্জা এবং জনরোষ মোকাবেলায় থানায় রাত-দিন পাহাড়া দিয়েছে। জামায়াত মানুষের কল্যানে কাজ করে। এটা বাংলাদেশের মানুষ ইতিমধ্যে বুঝে গেছে। আমরা আহ্বান করবো আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেলে জামায়াত মানুষের কল্যানে কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে মডেল মসজিদ অডিটরিয়ামে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। উপজেলার মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ ওই আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
সবায় এ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদ আলম। আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান, সহকারী সেক্রেটারী ও নাটোর-৪ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার শংক ডমিনিক গমেজ, বাংলাদেশ হিন্দু বোদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ বড়াইগ্রাম শাখার সভাপতি ধীরেন্দ্র নাথ সাহা, সম্পাদ জয়ন্ত কুমার, জেলা মসজিদ মিশন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আবু বক্কর সিদ্দিক, ইসলামী ব্যাংক বনপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।