নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তুঘলককে অপসারণের দাবিতে অবস্থান ধমর্ঘট ও স্বারক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস নিকট ওই স্মারকলিপি দেয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ১৯৯৫ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধ্যক্ষর দায়ীত্ব পালন করে আসছেন মোহাম্মদ তুঘলক। সেই সময় থেকেই নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষার্থীদের ভর্তি, সেশন, ফরম পুরন ফি এর নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আসছিলেন। তিনি ¯œাতক পর্যায়ে ১২ জন, ¯œাতক (৩য় শিক্ষক) ৯জন, ৪২ জন ¯œাতক সম্মান পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ফ্লাট বাড়ী, মার্কেট ক্রয়সহ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
রুবায়েত হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে সরকারের পক্ষে মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থার্থীদের কলেজ থেকে বহিস্কার করার হুমকি প্রদান করেছেন। সরকার পতনের পর থেকে তার মনোনিত লোক দ্বারা কলেজের নথিপত্র গোপন করছে। তাই আমরা এই অধ্যক্ষর অপসারন দাবী করছি।
মোহাম্মদ তুঘলক বলেন, জীব বিজ্ঞানের প্রভাষক আলেম মো. ইলিয়াস হোসেনকে মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দেয় ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক নুর মোহাম্মদ খোকন ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে ওমর ফারুখ।এই ঘটনাকে পুজি করে রাজনৈতি স্বার্থ হাসিল করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অরিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।