নাটোর অফিস ॥
নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ব্যাক্তিগত সহকারী, আপন ৪ ভাগিনাসহ ৬২ জনের নামে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নাসির গাজী নামে জামায়াত এক নেতা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় এই মামলা করেন।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক শফিউল আযম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাসির গাজী উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের জামাল গাজীর ছেলে ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা।
মামলায় আসামীরা হলেন, সাবেক এমপি ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ব্যাক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান, ভাগিনা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামাল উদ্দিন মিয়াজী, শামসুদ্দিন শেরশাহ, জহির উদ্দিন ও বাহাউদ্দিন, বনপাড়া পৌর যুবলীগ সভাপতি জাকির সরকার, ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে টিটু , ইউনুস আলী, সজিব হোসেন, আশরাফুল মন্ডল, তোহা মিয়া, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি রুবেল বালি, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, রফিকুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, সিরাজ পাটোয়ারী, সাইমুন পাটোয়ারী, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, রুবেল হোসেন, তুহিন ব্যাপারী, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জন।
নাসির উদ্দিন বলেন, গত ৫ আগষ্ট দুপুর সারে ১২টার দিকে উপজেলার বনপাড়া এলাকার একটি কিন্ডার গার্ডেনের সামনে তিনটি মটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ পুড়িয়ে দেয়। এ সময় আমার ছেলে মুন্না রহমান ও বনপাড়া পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মনির আগুন নিভাতে গেলে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ও বনপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি জাকির সরকারের হুমুকে আসামীগণ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রো নিয়ে আক্রমন করেন। হামলায় নাসির উদ্দিন, মুন্না রহমান ও কাউন্সিলর মনির আহত হয়।
এসময় মালিপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান জুয়েল, আব্দুল মমিন, হারোয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল আওয়াল মমিন, মহিষভাঙ্গা গ্রামের আনাস মোল্লা তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতী হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আযম খান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।