নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে দৈনিক প্রথম আলো’র গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আনিসুর রহমানের “আনন্দ সিনেপ্লেক্সে” ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। ভেঙে ফেলা হয়েছে সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, লুটপাট করা হয়েছে কম্পিউটার, প্রজেক্টর,আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপুর্ণ মালামাল। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলা পৌর সদরের চাচঁকৈড় গিয়াসের মোড়ে অবস্থিত আনন্দ সিনেপ্লেক্সে চলে এ তান্ডব।
এ দিকে রাতেই সিনেপ্লেক্সটি রক্ষা’র দাবিতে “জাজ মাল্টিমিডিয়া’র” ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সেখানে বলা হয়,‘আনন্দ সিনেপ্লেক্স গুরুদাসপুর নাটোর সিনেমা হলটি ভাংচুর চলছে এখন। সবাইকে এই সিনেমা হলটি রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এমনিতেই আমাদের চলচ্চিত্রের অবস্থা খারাপ। তারপর একের পর এক সিনেমা হল ধ্বংস করা হচ্ছে। কারা করছে সিনেমা হল ধ্বংস? কি চাচ্ছে তারা? আমরা কি এমন স্বাধীনতা,এমন দেশ চেয়েছিলাম?’ এছাড়াও গত কয়েকদিনের যেসকল জায়গায় সিনেমা হল ভাংচুর লুটপাট হয়েছে সেগুলোও উল্লেখ্য করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকেই “আনন্দ সিনেপ্লেক্সের” চারপাশ দিয়ে কিছু মানুষকে ঘরতে দেখাযায়। এরপর সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে দেশীয় অস্ত্র হাতে একদন সন্ত্রাসীরা সিনেপ্লেক্সের মূল ফটকের তালা ভেঙে প্রবেশ করে। একের পর এক স্থাপনা গুলো ধ্বংস করতে থাকে কিছু মানুষ। অপরদিকে কিছু মানুষ সিনেপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রজেক্টটরসহ সিনেপ্লেক্সে থাকা সকল মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে চলে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি চলে এই তান্ডব।
স্থানীয় যুবক নাইম হোসেন জানান, ‘ নাটোর জেলার মধ্যে একমাত্র সিনেমা হল এই “আনন্দ সিনেপ্লেক্স”। এখানে সিনামা দেখতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিভিন্ন দুর-দুরান্ত থেকে বিনোদনপ্রেমীরা আসতো। সিনেমাহল কেন্দ্রিক কিছু মানুষেরও জীবন-জীবিকা নির্বাহের পথ হয়েছিলো। কিন্তু দুর্বৃত্ত্বরা এমন ভাবে সিনেমা হলটি ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে গেলো। আমরা তো এমন দেশ চাইনি। এ ঘটনায় সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েগেলো।’
সিনেপ্লেক্স ভাংচুর ও লুটপাটের কারনে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে প্রথম আলো’র সাংবাদিক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন,‘ তিনি একজন গণমাধ্যমকর্মী। কোন ধরনের রাজনৈতিক দলের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। বিনোদন প্রেমী মানুষদের জন্য তিনি অনেক কষ্টে ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সিনেপ্লেক্সটি তৈরি করেছিলেন। প্রায় ৭ বছর যাবৎ তিনি এই সিনেপ্লেক্সেটিকে নিজের সন্তানের মত করে আগলে রেখেছিলেন। ভাংচুর ও লুটপাটের সময় প্রশাসনের কোন ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এমনকি স্থানীয়রাও কোন ধরনের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জল হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, পুলিশের কর্মবিরতি চলছে। অতি শিগ্রই কার্যক্রম চালু হবে।