নাটোর অফিস ॥
শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনে নাটোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত তোরণে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নামে টানানো ব্যানার কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বুধবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে নাটোর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নির্মিত শোক দিবসের তোরণের ব্যানার কেটে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।একই সময় সড়ক বিভাজকে লাগানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত জাতীয় মৎস্য দিবসের ব্যানার ও ফেস্টুনও ছিড়ে উপড়ে ফেলা হয়।
নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আকরামুল ইসলাম জানান, কর্মীদের কাছে খবর পেয়ে ববৃহস্পতিবার সকালে তিনি শহরের কানাইখালি পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় শোক দিবসের স্মরণে নির্মিত তোড়ণ দেখতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন তোড়ণের ব্যানার ছেঁড়া। কিন্তু কে বা কারা আক্রোশ বশত শোকাবহ এই আগস্টের মাসে ব্যানার ছিঁড়ে বা কেটে দিয়ে গেছে তা খুঁজে বের করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আমাদের ধারনা স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল বিদ্বেষবশত এই কাজ করেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবী জানাই।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে তাদের সড়কের ডিভাইডারে লাগানো ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।তবে তিনি কোন আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দেশে এমনিতেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। আবারও আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে সংকট ঘনীভূত হতে পারে। তাই তিনি কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এইঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শোক মাসের তোড়ণের ব্যানার ছেড়ার ঘটনাটি আমাকে অবগত করেছেন। জাতীয় শোক দিবসের তোরণ ও ব্যানার কেটে নষ্ট করার ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা হবে।