নাটোর অফিস ॥
সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিমের কাছে থেকে কেনা জমির দখল বুঝিয়ে চাওয়ায় ইউনুস আলী নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিমের স্ত্রী। সাহেরা বেগমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার গাড়ফা দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার ইউনুস আলী । বৃহস্পতিবার বড়াইগ্রামের বনপাড়ার একটি রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মাদ্রাসা শিক্ষক ইউনুস আলী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাদ্রাসা শিক্ষক ইউনুস আলী বলেন,সাবেরা বেগম (২৭) নাটোর শহরের একটি বিউটি পার্লার কর্মী। তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিমের স্ত্রী। সাহেরা বেগম অর্থ আর স্বার্থ হাসিল করতে একের পর এক শ্লীলতাহানি, কুপ্রস্তাব এবং উত্যাক্ত করার ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিরিহ মানুষকে ফাঁসাচ্ছেন। তার হাত থেকে আপন মামা শ^শুরও রক্ষা পান নাই। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সাবেরা বেগমের র্টাগেটে পড়েছেন শিক্ষক ইউনুস আলী। তিনি লিখিত বক্তৃতায় বলেন, ২০২২ সালে প্রতিবেশী সাবেরা বেগেমের স্বামী রেজাউল করিমের নিকট থেকে ৪ শতক জমি কিনেন। রেজাউল করিম ওই জমি বিক্রি করে সেই টাকায় সৌদি আরব যান। তিনি তার স্ত্রী সাবেরা বেগমকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। কিন্তু সাবেরা বেগম জমির দখল ছাড়তে তালবাহানা শুরু করেন। গত সপ্তহে জমি ছাড়তে চাপ দিলে গত রোববার ইউনুস আলীর নামে বড়াইগ্রাম থানায় একই কায়দায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউনুস আলীর ভাগ্নে সাইদুল ইসলাম, ছোটভাই আব্দুল আলীম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাবেরা বেগম ইতিমধ্যে মামা শ^শুর আব্দুল জলিলের নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এরপর সোহাগ হোসেন নামে এক যুবকের নামে একই অভিযোগ করা হয়। এছাড়া নাটোর শহরে আব্দুল আলীম নামে এক ব্যক্তিকে স্বামী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন।
সাবেরা বেগম বলেন, ইউনুস আলী আমাকে নানা ভাবে কু-প্রস্তাব দিত এসবের প্রমান তার কাছে রয়েছে। এছাড়া তিনি নাটোর শহরে একা দেখা করার জন্য আমাকে প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা শামসুজ্জোহা বলেন, ইউনুস আলী একজন মাদরাসা শিক্ষক। তার নামে এ ধরনের অভিযোগ করা ঠিক করে নাই।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আযম খান বলেন, ইউনুস আলী নামে একজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত লিখিত অভিযোগ করেছেন সাহেরা বেগম। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।