বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসে সিংড়ার শাহাদতের জীবন বদলে গেছে

নাটোর অফিস॥
বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য শাহাদত হোসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিরগাছা এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে। শাহাদত হোসেনের একমাত্র মেয়ে ঢাকা পাসপোর্ট অফিসে চাকরি করেন। নারায়নগন্জের পাসপোর্ট অফিসের নিরাপর্তা প্রহরী। শাহাদত তার গ্রামের ভিটায় তিন বিঘা জায়গায় ফলের বাগান ও কাদিরগাছা বিলে পাঁচ বিঘা জমি সহ পুকুরের মালিক। এছাড়াও ঢাকার ইব্রাহিমপুর ১টি ফ্লাট এবং মিরপুর ১৪ এলাকায় একটি ফ্লাটের মালিক। বছরে দু একবার গ্রামে আসলেও সেভাবে তেমন কিছু করেন নি ্এলাকায়। সিংড়া পৌর শহরের উপশহর এলাকায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যর ৮ শতক জায়গা এবং সরকারপাড়া এলাকায় ৫ শতক জায়গার মালিক। শাহাদতের জায়গা জমি সহ বাগান দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়জিত থাকা খালাতো ভাই হানিফ আলী জানান শাহাদত হোসেন গ্রামের বাড়িতে থাকেন না স্ত্রী সন্তান সহ ঢাকায় বসবাস করেন বছরে দুই একবার বাড়িতে অসেন। শাহাদত হোসেনের চাচাত ভাই হাফিজুর রহমান জানান, শাহাদত চাকরি জীবনের প্রথম কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে নিরাপর্তাকর্মী হিসেবে যোগদান করেন। গ্রামে বাবা মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জায়গা ছাড়াও অল্প কিছু জায়গা কিনেছেন। শাহাদত যে প্রশ্ন ফাঁস কওে আমার তা জানা নেই। শাহাদতের বড় ভাই শাইদুল ইসলাম জানান, ভাই হলেও শাহাদত আমাদেও কোন খোজ খবর নেয় না। গ্রামে তেমন আসে না আর কথায় চাকরি করেন তাও আমরা জানি না। তবে শুনেছি ঢাকায় তার দুইটা নিজস্ব বাসা সহ সিংড়া শহওে তিনটা জায়গা আছে তার। তাকে চাকরি দিয়েছেন আমাদের এলাকার সাবেক সচিব মখলেছুর রহমান। তাজপুর ইউনিয়র্নে চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, শাহাদতের চাকরি শুরু কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের নিরাপর্তা কর্মী হিসেবে। এরপরে কুমিল্লা রাজশাহী এবং বর্তমানে নারায়নগন্জে চারি করেন শুনেছি। তার সিংড়া শহরে তিনটি জায়গা আছে ঢাকাতে বাসা আছে। একজন নিরাপর্তা কর্মী হয়ে কিভাবে এত জায়গা জমির মালিক হলেন। শাহাদত প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সদস্য শুনে এলাকায় সরগোলের সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *