নাটোর অফিস॥
নাটোরে দলীয় কর্মসুচীতে যোগদিতে যাওয়ার পথে জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম বা”্চুকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া একই সময়ে দলীয় কর্মসুচীতে হামলা চালালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সহ আরো ৫ জন আহত হয়েছেন।আজ বুধবার সকালে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই হমলার ঘটনা ঘটে।গুরুতর জখম শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে যুবলীগ কর্মী রাসেদুল ইসলাম কোয়েলের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন যুবলীগ কর্মী এ্ হিামলা চালায়। তারা বিএনপি অফিসের সমাবেশ লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ সহ গুলি বর্ষন করে আতংক সৃষ্টি করে। এই হামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল,শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক সাব্বির হোসেন চপল, জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক হিটলু সহ ৫ জন আহত হয়। এর আগে কর্মসুচীতে আসার সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে তাদের হটিয়ে দেয় এবং আহত বাচ্চুকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দেওয়ান শাহিন আরো বলেন আওয়ামীলীগের এই কোয়েল বাহিনী ইতিপুবের্ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ,উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন ও আমাকে সহ অন্তত ২০ নেতা কর্মীর ওপর হামলা চালায়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন,বিরোধী দলের কর্মসুচীর বিপরীতে আওয়ামীলীগের কোন শান্তি সমাবেশ বা কোন ধরনের কর্মসুচী ছিলনা। যারা এই হমলার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যুবলীগেরও কেউ নন। সম্প্রতি তারা বিএনপি থেকে এসেছে স্থানীয় এমপির মাধ্যমে। এরা অতি উৎসাহী হয়ে নিজেদের খাটি আওয়ামীলীগ হিসেবে প্রমান করতে মাঠে নেমেছে। পুলিশ কেন এদের দমন করতে পারছেনা তিনি বলে প্রশ্ন তুলে বলেন,ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া বলেন,কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিষয়ে খোজ নেয়া হচ্ছে। প্রমান মিললে দলীয়সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন,বিএনপির সমাবেশ এলাকায় আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। কর্মসুচীর স্থলে আসার পথে বিএনপির নেতা কমীদের ওপর এসব হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। গুলি বা ককটেল বিস্ফোরনের কোন ঘটনা জানা নেই। এমন ঘটনার কোন সত্যতাও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করার কাজ করছে পুলিশ। তাদের সনাক্ত করা গেলে পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালাবে। তবে ভুক্তভোগী বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়াযায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।