নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্বামীর চুরি কর্ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় সুফিয়া বেগম নামে এক গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আসমত আলীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর তার শিশু কন্যাকে নিয়ে পালিয়ে যায় আসমত। বৃহস্পতিবার রাতের কোন একসময় উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের হাপানিয়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী আসমত আলী পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসমত আলী উপজেলার জামনগর হাপানিয়া গ্রামের মৃত আতাহার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আসমত আলীর পেশা ছিল চুরি । চুরির ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার সালিশ হলেও চুরি পেশা ছাড়েনা সে। এই বিষয় নিয়ে স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সাথে তার ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। আজ শুক্রবারও একটি চুরির ঘটনা নিয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এসব নিয়ে কলোহের জেরে আসমত তার স্ত্রী সুফিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। স্ত্রীকে হত্যার পর তাদের আট বছরের শিশু আসমানীকে নিয়ে আসমত পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালের দিকে আসমত আলী নিজেই তার ভাতিজা আনোয়ারকে মোবাইল ফোনে বলে তার বাড়িতে কি হয়েছে গিয়ে খোজ নেবার জন্য। ভাতিজা আনোয়ার ওই বাড়িতে এসে ঘরের মেঝেতে সুফিয়ার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এই খবর জানাজানি হওয়ার পর এলকার মানুষ ওই বাড়িতে ছুটে সুফিয়ার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আসমত আলী কোন কাজ না করে বিভিন্ন স্থানে চুরি ও বিয়ে করে বেড়াতো। এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত রাতেও ঝগড়া ঝাটির এক পর্যায়ে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আসমত আলী তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করার পর তার ৮ বছরের শিশু কন্যাকেও সাথে নিয়ে গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসমত আলীকে আটকের চেষ্টা সহ শিশু কন্যাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।